
ঢাকা: তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ওঠা সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী। সোমবার যখন শেখ হাসিনার রায় ঘোষণা হচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশে ‘হাওয়া বদলের’ আগাম বার্তা দিয়ে দিলেন আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এই রায় বাংলাদেশের আবহাওয়াকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বলেই দাবি তাঁর।
চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর এই অনুমান রায় ঘোষণার আগের। তখন সবে ৪৫৩ পাতায় রায় পড়া শুরু করেছেন বিচাপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এক একটি পাতা শেষ করছেন তিনি, ততই বাড়ছে উদ্বেগ। বদলে যাচ্ছে ট্রাইবুনালের দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষের চোখ-মুখে ভাব। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিচার চলছে সেখানে। ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির সীমিত। তবে আপাতত সেই সীমিত নেতা-নেত্রীদের তালিকায় জুড়ে গেলেন হাসিনাও।
আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, ‘আদালত ওনাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে বাংলাদেশে অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হবে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে দেশের একাংশ। আমি জানি, বিচারপতি যাই রায় দিন না কেন, সেটার ভিত্তিতে আপিলের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু এই আপিলের জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে যেতে হবে। কিন্তু উনি সেখানে না গেলে এই রায় কার্যকর থাকবে।’
আইনজীবীর দাবি ফেলে দেওয়ার মতো নয় বলেই মত একাংশের। রায়ঘোষণার পর সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির বিচ্ছিন্ন ছবি বাংলাদেশজুড়ে দেখা গিয়েছে। রাস্তায় আগুন ধরিয়ে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। চলেছে ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় সেনা-পুলিশ।
প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার রায় ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এই মামলায় তিন অভিযুক্ত যথাক্রমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। হাসিনা ও আসদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারপতি। তবে একই দোষে দুষ্ট প্রাক্তন পুলিশকর্তা রাজসাক্ষী হওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।