
লন্ডন: কর্মসূচি মতোই বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। স্থানীয় সময় ১১ নাগাদ নিজের হোটেল রুম থেকে রওনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। সেখানেই ছিল ভাষণ পর্ব। ক্ষণিকের মধ্যে পৌঁছে যান, উঠে পড়েন পোডিয়ামে। শুরু লন্ডনের বুকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ।
কিন্তু বাংলার লতায়-পাতায় জড়িয়ে থাকা রাজনীতি, প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়েও পিছু ছাড়েনি মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর ভাষণ পর্বেই যেমন দেখা গেল, বসে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনছেন সারি সারি কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তখনই আবার একদমের পিছনের দিকে হাতে পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে একদল প্রবাসী বিক্ষোভকারী। কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র নিয়ে লন্ডনে যাওয়া ভারতীয় প্রতিনিধিকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাল তারা।
তবে সেই বিক্ষোভের মাঝেও কিন্তু নিজের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে যখন পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে গলা চড়াচ্ছে একদল বিক্ষোভকারী। সেই সময়ও নিজেকে সংযত রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ধন্যবাদ, আমাকে এই ভাবে স্বাগত জানানোর জন্য। এটা গণতন্ত্র। আপনারা নিজেদের দাবিগুলো অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন।’
প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝে পোস্টার হাতে ঢুকে পড়া বিক্ষোভকারীরা আসলে কারা? ইতিমধ্যেই এই কর্মকাণ্ড নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূলের একাংশ। সমাজমাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করে একটি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের IT সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। ছবি ধরে চিহ্নিত করে তিনি লিখেছেন, ‘সিপিএম কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এটি একটি ভারত বিরোধী, বঙ্গ বিরোধী, মানবতাবিরোধী, অসভ্য, বর্বর, মানবরূপী জানোয়ারদের সংগঠন।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য্যের প্রশংসা করে দেবাংশু লেখেন, ‘দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই অসীম ধৈর্য দেখানোর জন্য। আপনার জায়গায় আমি থাকলে পারতাম না। আপনি হাসিমুখে যে জুতোগুলো ওদের মুখে মেরেছেন, সেই প্রত্যেকটা জুতোর-বাড়ি আসলে ওদের বাংলার নেতাগুলোর মুখে পড়েছে।’
এই বিক্ষোভের ঘটনায় ইতিমধ্যে নিজেদের সমাজমাধ্য়মে একটি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে বাম ছাত্র পরিষদ SFI-এর ব্রিটেন শাখাকে। সেই পোস্টে তারা জানিয়েছে, ‘অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালায় SFI-এর ব্রিটেন শাখা। আমরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছি। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, সেখানে পুলিশ ডাকা হয়।’