
ইসলামাবাদ: ভিলেনই যেন হিরো। বলিউডে চর্চা এখন শুধু ধুরন্ধর নিয়ে। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে যে দ্বিতীয় পার্টও আসছে। নতুন বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পাবে ধুরন্ধর পার্ট ২। তবে সিনেমায় তো রহমান ডাকাইতের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় পার্টে কি তবে রহমানের ভাই উজেইর বালোচ-কে নিয়ে হবে? রহমানের মতোই কিন্তু ভয়ঙ্কর ছিল তাঁর ভাই। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৯৮ জনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে।
সিনেমায় দেখিয়েছে, রহমান ডাকাইতের মৃত্যুর পর হামজার কোলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর ভাই উজেইর বালোচ। তবে বাস্তবে রহমান ডাকাইতের মৃত্যুর পর উজেইর করাচীর সবথেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার হয়ে উঠেছিলেন। দাদার অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেয় এবং ল্যায়রির একাধিনায়ক হয়ে ওঠে। গ্যাংস্টার আরশাদ পাপ্পুকে খুন করেছিলেন উজেইর। তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিল, আরশাদ পাপ্পুর খুনের পর উজেইর ও তাঁর সঙ্গীরা রাস্তায় সেই দেহ নিয়ে লোফালুফি খেলেছিল। তাঁর কাটা মুণ্ড নিয়ে ফুটবল খেলা হয়েছিল।
তবে এই পরিবারের ইতিহাসও দীর্ঘ। ২০০৩ সালে আরশাদ পাপ্পুই উজেইরের বাবা ফইজ মহম্মদকে অপহরণ করেছিল। পরে তাঁকে খুন করে আরশাদ পাপ্পু। ততদিনে প্রতিষ্ঠিত গ্যাংস্টার হয়ে গিয়েছে রহমান ডাকাত। এরপরই উজেরকে তাঁর গ্যাংয়ে ডাকে।
দ্য ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উজেইর প্রথমে রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে যোগ দিতে চায়নি। রহমান ডাকাইতকে চৌধুরী আসলাম খান (সিনেমায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত)-কে গ্রেফতার করে। করাচী জেলে ২ বছর কাটানোর পর জেলমুক্তি হয়। ২০০৯ সালে তাঁর পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়।
২০১২ সালে সাংবাদিক নুর-উল-আরিফিনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন উজেইর। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কীভাবে তিনি আয় করেন, কতই বা আয় হয়? সেই সময় উজেইর জানিয়েছিল যে দুবাইয়ে তাঁর ব্যবসা রয়েছে। এছাড়া জমি রয়েছে, পৌত্রিক সম্পত্তিও রয়েছে বিপুল। উজেইর জানিয়েছিল, লিয়ারিতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে জল পৌঁছয় না। উজেইরের বাড়িতে জলের দোকান রয়েছে। দাবি করেছিলেন, লিয়ারির মানুষ তাঁকে ভালবাসে।