
রেইকেভিক: কেউ খোঁজেন সরকারি চাকরি। তো কেউ সন্ধানে থাকেন মোটা অঙ্কের বেতনের। কিন্তু কোনও মহিলাকে বিয়ে করলেই যদি বড় অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়, তাহলে সেই টাকার দিকে নজর পড়বে অনেক পুরুষেরই। বউ এবং টাকা যদি এক সঙ্গে আসে, তাহলে কেউই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। ঠিক এমনই হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটি পোস্ট ঘিরে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, বিয়ের জন্য পাঁচ হাজার ডলার দেবে আইসল্যান্ডের সরকার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। সে দেশে মহিলার সংখ্যায় পুরুষের সংখ্যা অনেক কম হওয়াতেই বিয়ের জন্য ছেলেদের সরকার টাকা দেবে বলে দাবি করা হয়েছে ওই পোস্টে। সেই পোস্টে আরও জানানো হয়েছে, বিয়ের জন্য উত্তর আফ্রিকান পুরুষদের অগ্রাধিকারের কথা। এমনকি আফ্রিকার একটি সাইট এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে বেশ উন্মাদনাও তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের দাবি সবৈব মিথ্যা বলে জানা গিয়েছে। বিয়ে করলে আইসল্যান্ড সরকার কোনও অর্থ দিচ্ছে না বলে পরিষ্কার জানিয়েছে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিয়ের জন্য টাকা দেওয়া সংক্রান্ত কোনও তথ্য সত্যি নয়। এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই।” আইসল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমও এই গুজবের বিষয়ে সকলকে অবহিত এবং সতর্ক করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে জানা গিয়েছে, আইসল্যান্ডের মহিলার তুলনায় পুরুষের অনুপাত মোটেই কম নয়। সে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই পুরুষ বলে জানা গিয়েছে।তাই বিয়ে করে টাকা রোজগারের কথা ভেবে থাকলে তা ভুলে কাজে মন দেওয়া বাঞ্ছনীয়।