
ওয়াশিংটন: বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর মিলবে না পড়ার সুযোগ। শুধু ভারতীয় নয়, কোনও অন্য দেশের পড়ুয়াকেই আর ভর্তি হতে পারবে না হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ট্রাম্প প্রশাসন এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে বারণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তদন্তও করবে বলে জানানো হয়েছে। কেন হঠাৎ ট্রাম্পের রোষানলে পড়ল বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়? কেনই বা বন্ধ করা হল বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি?
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “হিংসা লালন করা, ইহুদিদের বিরুদ্ধে ভেদাভেদ, অত্যাচার করা এবং চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
This administration is holding Harvard accountable for fostering violence, antisemitism, and coordinating with the Chinese Communist Party on its campus.
It is a privilege, not a right, for universities to enroll foreign students and benefit from their higher tuition payments… pic.twitter.com/12hJWd1J86
— Secretary Kristi Noem (@Sec_Noem) May 22, 2025
বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি করা কোনও অধিকার নয়, বরং সুবিধা- এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে দাবি, বিদেশি পড়ুয়াদের থেকে নেওয়া এই বেশি টিউশন ফি বা পড়ার খরচ তাদের এই কাজ করতে সাহায্য করেছে। আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতেই বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে যদিও উল্লেখ করা রয়েছে যে বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তির সুযোগ পেতে এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সার্টিফিকেশন পেতে তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘প্রয়োজনীয় তথ্য’ পাঠাতে হবে।
যদি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, বর্তমানে হার্ভার্ডে যে বিদেশি পড়ুয়ারা পড়ছেন, তাদের অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার নিতে হবে বা তাদের লিগাল স্টেটাস থাকবে না। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ কথাই জানিয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ক্ষতি করবে। সরকারের এই পদক্ষেপ বেআইনি। ১৪০টি দেশ থেকে মেধাবী পড়ুয়ারা এখানে পড়তে আসে, তাদের পরিষেবা দিতে হার্ভার্ড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের পদে বসার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছিল হার্ভার্ড। রাজনৈতিক নজরদারির প্রস্তাব খারিজ করার পরই, গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ‘হাস্যকর’। সরকারের রিসার্চ কনট্রাক্ট কেড়ে নেওয়া উচিত। সেই সময়ই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে প্রশাসনের প্রস্তাব না মানলে, বিদেশি পড়ুয়াদের ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৮০০ ভারতীয় মেধাবী পড়ুয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ে পড়তে যায়। বর্তমানে ৭৮৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া পড়াশোনা করছে।