ওয়াশিংটন: কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। বিগত বছর থেকে গোটা বিশ্বে এইভাবেই চলছে করোনা সংক্রমণ। তবে ২০২০ সালের পর থেকে বেশ কয়েক দফায় গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়েছে করোনা ঢেউ। করোনা টিকা তৈরিতে জোরকদমে মাঠে নেমে পড়ে একের পর এক দেশ। এদিকে এই সময়কালে করোনার দাপটে শিশুদের সাধারণ টিকাকরণও (Children Vaccination) জোরকদমে ধাক্কা খেয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এনেছে ইউনিসেফ(UNICEF)। তাতে বলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটির বেশি শিশু আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে তাদের টিকা পায়নি। ইউনিসেফের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে করোনাকালে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় ধাক্কার জন্য ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের ৬.৭ কোটি শিশু তাঁদের প্রাপ্য টিকা পায়নি।
শুধু ৬.৭ কোটি শিশু নয়, ৪.৮ কোটি শিশুর রুটিন টিকাকরণও (Vaccination) ব্যহত হয়েছে এই সময়কালে। তার ফলে নতুন করে পোলিও দূরীকরণ কর্মসূচি ও হামের প্রাদুর্ভাব নিয়েও বেড়েছে উদ্বেগ। মারাত্মকভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি ব্যহত হয়েছে ১১২টি দেশে। যার মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচিতে। ২০০৮ সালের পর এরকম দুরাবস্থা আর হয়নি বলেই জানতে পারা যাচ্ছে।
এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে টিকাকরণের কারণে প্রতি বছর ৪৪ লক্ষ শিশুর প্রাণ বাঁচে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৫৮ লক্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। যদিও করোনা ধাক্কার কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সিঁদুরে মেঘ। ১৯৬৩ সালে টিকা আবিস্কারের আগে হামের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২৬ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হতো। তারপর বাজারে এসে গিয়েছিল টিকা। বর্তমানে ২০২১ সালে হামের কারণে মারা গিয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার শিশু।