Update: দু-মানুষের সমান ঢেউ আছড়ে পড়ল জাপানের তীরে, হাইওয়েতে ফাটল, বন্ধ বুলেট ট্রেন

Earthquake in Japan: সোমবার ভোররাতে কেঁপে উঠল জাপানের রাজধানী থেকে কান্তো এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৪। এই ভূমিকম্পের পরই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। পশ্চিম উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছে। গোটা দেশে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। উপকূলবর্তী এলাকার লোকেদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

Update: দু-মানুষের সমান ঢেউ আছড়ে পড়ল জাপানের তীরে, হাইওয়েতে ফাটল, বন্ধ বুলেট ট্রেন
ভূমিকম্পে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা।Image Credit source: Reuters

|

Jan 01, 2024 | 9:36 PM

টোকিও: নতুন বছরের প্রথম দিনই জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। সোমবার ভোররাতে কেঁপে ওঠে জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে কান্তো এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৪। ভূমিকম্পের পরই গোটা দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্রের ঢেউ অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠতে শুরু করেছে। উপকূলবর্তী এলাকার লোকেদের অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

সর্বশেষ তথ্য উপরে

  1. রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
  2. দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ ইশিকাওয়ায় ফের জোরাল কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭। সমুদ্র সংলগ্ন বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে সরানো হয়েছে।
  3. জোরাল ভূমিকম্পের পরই কন্ট্রোল রুম খুলেছে জাপানে ভারতীয় দূতাবাস।
  4. মধ্য জাপানে ভূমিকম্পের উৎসস্থল, নোটো অঞ্চলে হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টোকিও ও নোটো অঞ্চলে বুলেট ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
  5. মধ্যে জাপানের উত্তর উপকূলে আছড়ে পড়েছে সুনামির প্রথম ঢেউ। ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ১.২ মিটার (প্রায় ৪ ফুট)। আবার নিগাটা ও তোয়ামা উপকূলে সমুদ্রের ঢেউ ৩ মিটার পর্যন্ত উঠেছিল। ৫ মিটার পর্যন্ত ঢেউ উঠতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
  6. সোমবার ভোররাতে ভূমিকম্পের পর দুপুর পর্যন্ত আরও ২১ বার কেঁপে উঠল জাপান। এরপরই প্রায় ৩৩,৫০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। ইশিকাওয়ায় বাড়ি ভেঙে পড়ার ছবিও ধরা পড়েছে। আতঙ্কে লোকজন ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমেছে।
  7. জাপান আবহাওয়া সংস্থা (JMA) সূত্রে খবর, এদিন ভোররাতে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল জাপানের উত্তর-পশ্চিমে ইশিকাওয়া। ইশিকাওয়া ও সংলগ্ন এলাকায় জোরাল ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের তীব্রতা অতিরিক্ত হওয়ায় টোকি ও কান্তো এলাকাতেও জোরাল কম্পন হয়। ভূমিকম্পের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি উত্তর-পশ্চিমের সমুদ্র উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। জাপানের এই ভূমিকম্পের জেরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকাতেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ভয়ঙ্কর সুনামির সাক্ষী হয়েছিল জাপান। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হোংসু দ্বীপে জোরাল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯। যা জাপানের ইতিহাসে প্রথম। এই ভূমিকম্পের পর সুনামিও হয়। বিশাল-বিশাল ঢেউ উপকূলবর্তী বড়-বড় বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।