নয়া দিল্লি: টুইটার অধিগ্রহণের পর ইলন মাস্কের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। একের পর এক টুইটার শীর্ষ আধিকারিক থেকে কর্মীদের বিনা নোটিসে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন ইলন মাস্ক। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাদার কোম্পানি মেটাও সম্প্রতি ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু টুইটারের রক্তক্ষয় এখনও অব্যাহত। জানা গিয়েছে, টুইটারের ৪ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে বিনা নোটিসে সংস্থা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। প্ল্যাটফর্মারে প্রকাশিত রিপোর্টে থেকে জানা গিয়েছে, টুইটারের প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কর্মী তাদের অফিসিয়াল ইমেল, অনলাইন সার্ভিস এবং সংস্থার অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছেন না।
প্ল্যাটফর্মারের তরফে কেশি নিউটন বলেন, “টুইটার ৪,৪০০ থেকে ৫,৫০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এরফলে সংস্থার কনটেন্ট মডারেশন এবং অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে। টুইটারের কর্মরতরাও এই সিদ্ধান্ত জানার পর অবাক হয়ে গিয়েছেন।”
টুইটার অধীগ্রহণের পর থেকে একের পর এক কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক। সংস্থার প্রায় ৫০ শতাংশ স্থায়ী কর্মীকে রাতারাতি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৭০০ জনকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। ভারত থেকে টুইটারে কর্মরত ৯০ শতাংশ কর্মীকে ছেঁটে ফেলেছিলেন ইলন মাস্ক। প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, কনটেন্ট মডারেশন, মার্কেটিং, রিয়েল এস্টেট, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য বিভাগ থেকে কর্মীদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
মার্চ মাসে ৪৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার পর একের পর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী টুইটার থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারমধ্যে টুইটারের চিফ সিকিউরিটি অফিসার লিয়া কিসনারও ছিলেন। শুধুমাত্র কর্মী ছাঁটাই নয়, সংস্থার হাল ফেরাতে সম্প্রতি কর্মীদের ৮০ ঘণ্টা কাজ করার নিদান দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এমনকী টুইটারে কর্মীদের যে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হত, তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার হাল ফেরাতে কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের আবেদন করেছেন মাস্ক। আগামী দিনে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।