Army vs Yunus: লেগেই গেল ‘যুদ্ধ’! সেনাকে রাজনীতিতে নাক না গলানোর চরম বার্তা ইউনূস সরকারের

Muhammad Yunus Resignation News: এদিন নিজের ফেসবুক ওয়ালে ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি সেনার শৃঙ্খলার পাঠ নিলেন ফয়েজ আহমদ। সভ্য দেশে সেনা রাজনীতি করে না বলেই মত তাঁর। এদিন ফয়েজ লেখেন, 'আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে তারা নাকও গলায় না।'

Army vs Yunus: লেগেই গেল যুদ্ধ! সেনাকে রাজনীতিতে নাক না গলানোর চরম বার্তা ইউনূস সরকারের
বাঁদিকে ইউনূস, ডান দিকে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানImage Credit source: Getty Image | X

|

May 23, 2025 | 3:49 PM

ঢাকা: তিনি বিশেষ সহকারী। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। তাঁর করা মন্তব্য যে কোথাও গিয়ে সরকারের দেওয়া বার্তা সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এবার সেই সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানালেন যে পদত্যাগ করছেন না ইউনূস। সমস্ত জল্পনা-কল্পনা-বিতর্কে বাধ টেনে বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতির সব থেকে বড় ‘সত্যিটা’ প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।

এদিন নিজের ফেসবুক ওয়ালে ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকেও শৃঙ্খলার পাঠ পড়ালেন ফয়েজ আহমদ। সভ্য দেশে সেনা রাজনীতি করে না বলেই মত তাঁর। এদিন ফয়েজ লেখেন, ‘আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে তারা নাকও গলায় না।’

কোন প্রসঙ্গে এমন বললেন ফয়েজ? সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাফ জানিয়েছিলেন, ‘দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি সামরিক বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ইউনূস সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এই সরকার গঠনের উদ্দেশ্য ছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করা।’

সেই পোস্ট

গত কয়েক মাস ধরে দেশের রাজনৈতিক শিবিরে মুখে মুখে ঘোরা দাবি এবার শোনা গেল সেনাপ্রধানের মুখে। ঘুরপথে তিনি কি সরকারের মাথায় বসতে চাইছেন নাকি বাংলাদেশ সেনাশাসনের দিকে এগোচ্ছে? এই রকম একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সেনাপ্রধানের মন্তব্যের জেরে বাড়তি অক্সিজেন পায় BNP ও NCP-এর মতো দলগুলি। সেনার সঙ্গে সরকারের যে একটা ফাটল তৈরি হয়েছে, তাও কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়।

এবার সেই তর্ক-বিতর্কের মাঝে সেনাপ্রধানকে শৃঙ্খলার পাঠ পড়ালেন ফয়েজ আহমেদ। তাঁর সংযোজন, ‘নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্য তাঁর জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থা রাখতে হবে। হটকারিতা চলবে না। ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনা আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভাঙবে, তা কাম্য না।’

এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, সেই সময়ই সেনা ও ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে লেখা পোস্ট ডিলিট করে দেন বিশেষ সহকারী। তিনি দাবি করেন, এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, যদি সত্যিই ব্যক্তিগত মতামত হয়, তাহলে ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’, এমন বাক্যের প্রয়োগ কেন তিনি করলেন? নাকি এই ‘ব্যক্তিগত মতামত’ পোস্ট আসলে সাফাই গাওয়ার একটা রাস্তা? ফাটল যে গুরুত্বর তা আপাতত স্পষ্ট বলেই মত একাংশের।