লস অ্যাঞ্জেলস: একেই বোধহয় বলে আর্মাগেডন। কিংবা অ্যাপোক্যালিপ্স। দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা শহর। আকাশ ঢেকে গেছে কালো ধোঁয়ায়। নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। তারমধ্যেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। গাড়ির ভিড়ে রাস্তায় লেগে গেছে ট্র্যাফিক জ্যাম। দাবানলের কবলে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস। এখনও পর্যন্ত সাতটা পয়েন্ট থেকে আগুন ছড়িয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার একর জমি চলে গেছে আগুনের গ্রাসে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি।
১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নিহতের সংখ্যা ডাবল ডিজিটে পৌঁছে গিয়েছে। ইতিহাসে কখনও এত বড় ফরেস্ট ফায়ার দেখেনি ক্যালিফোর্নিয়া। আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তে সব প্রদেশ থেকে ফায়ার ফাইটাররা আগুন নেভাতে লস অ্যাঞ্জেলসে চলে গেছেন। তবে তাঁদের শত চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন। হেলিকপ্টার থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। আবহাওয়া অফিস ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। নেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা। ফলে, বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা। কথায় বলে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না। তো রুপোলি পর্দার যে নায়ক-নায়িকাদের সাধারণ মানুষ প্রায় দেবদেবীর চোখেই দেখেন, ঘর পুড়েছে তাদেরও।
লস অ্যাঞ্জেলসের এই অভিজাত এলাকায় হলিউডের হু’জ হু-দের বাস। Anthony Hopkins, John Goodman, Billy Crystal, Mandy Moore, Paris Hilton. কার নাম নেই লিস্টে। সবার বাড়িই পুড়ে ছাই। রাজ পরিবার ছেড়ে ব্রিটেনের পাট চুকিয়ে এখন লস অ্যাঞ্জেলসে থাকেন হ্যারি-মেগান। পুলিশের নির্দেশে তাঁদেরও বাড়ির মায়া ত্যাগ করে এক কাপড়ে পালাতে হয়েছে। প্রশ্ন হলো, দাবানল এতটা বিধ্বংসী চেহারা নিল কেন। সেটাই আপনাদের বলবো। এই সময়টা ফরেস্ট ফায়ারের সময় নয়। কিন্তু, এখন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বইছে Santa Ana winds. নেভাদা এবং উটা থেকে এই হাওয়া ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে আসে। হাওয়ার গতি এবার মারাত্মক বেশি।