Russia-Ukraine Conflict: খোদ রাশিয়া থেকে এল সাহায্য! জ়েলেনস্কিকে হত্যার পরিকল্পনা বানচাল
Russia-Ukraine Conflict: চেচনিয়া প্রধান রমজান কাদিরভ সরাসরি এই হামলার নেপথ্য ছিলেন। তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
কিয়েভ: রাশিয়ান আক্রমণের (Russia-Ukraine Conflct) মুখে সীমিত শক্তি নিয়েও চোখে চোখ রেখে লড়াই করছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের এই লড়াইয়ের যিনি নেপথ্য নায়ক, তিনি স্বয়ং ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। ইউক্রেনের সরকারি সূত্রের দাবি, জ়েলেনস্কিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া, সেই চক্রান্ত ইতিমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি তাদেরকে আগেভাগেই সতর্ক করছিল যে জ়েলেনস্কির ওপর হামলা হতে পারে। জানা গিয়েছে, চেচনিয়ার প্যারা মিলিটারি বাহিনীর বিশেষ শাখা কাডিরভিস্ট জ়েলেনস্কি হত্যার পরিকল্পনার পিছিনে যুক্ত ছিল। এক সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা সচিব ওলেক্সি ড্যানিলভ। ড্যানিলভ জানিয়েছেন সন্দেহভাজন চক্রান্তকারীদের হত্যা করা হয়েছে।
ড্যানিলভ জানিয়েছেন, “আমার এই বিশেষ অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিলাম। কাডিরভিস্ট আক্রমণের মাধ্যমে জ়েলেনস্কি হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে সরাসরি যুক্ত ছিল। আমাদের কাছে এফএসবির পক্ষ থেকে এই খবর এসেছিল। এফএসবি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চায়না। এফএসবিকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আমি বলতে চাই যাঁরা জ়েলেনস্কিকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন তাদের নিকেশ করা হয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতেই তারা এখানে এসেছিলেন।”
চেচনিয়া প্রধান রমজান কাদিরভ সরাসরি এই হামলার নেপথ্য ছিলেন। তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। বেশ কিছুদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল। বিখ্যাত এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছিল যে, সুদূর আফ্রিকা থেকে জ়েলেনস্কিকে হত্যা করার জন্য ‘ভাড়াটে’ বাহিনী নিয়ে এসেছিল রাশিয়া। বিশেষভাবে সক্ষম সেই বাহিনীর নাম ওয়াগনার গ্রুপ। সেই বাহিনীর প্রধান রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছিল। তবে কোনও ভাবে সেই বাহিনী সম্পর্কে ইউক্রেনের কাছে খবর যায় এবং তার সতর্কতা অবলম্বন করে। ওয়াগনার গ্রুপ এখনও ইউক্রেনেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলেই খবর।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: শুধু হামলাতেই ক্ষান্ত নয়, রুশ সেনার লালসার শিকার ইউক্রেনিয় মহিলারা?