Russia-Ukraine Conflict: শুধু হামলাতেই ক্ষান্ত নয়, রুশ সেনার লালসার শিকার ইউক্রেনিয় মহিলারা?
Russia-Ukraine Conflict: লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, "যখন আপনার শহরে বোমাবর্ষণ হয়, যখন অধিগৃহীত শহরে মহিলাদের ধর্ষণ করা হয় তা বর্বরতা।
কিয়েভ: ইউক্রেনে রাশিয়ান হানা (Russia-Ukraine Conflict) নবম দিনে পা দিয়েছে। রাজধানী রক্ষায় এখনও প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন। পুতিনও (Vladimir Putin) হয়ত ভাবেননি পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় প্রথমসারিতে থাকা রাশিয়ার কিয়েভের দখল নিতে এতদিন সময় লাগবে। কিন্তু রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির (Volodymir Zelenksy) আবেদনে সারা দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন হাজার হাজার ইউক্রেনিয়। এমনকী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৪০ হাজার ইউক্রেনিয় নাগরিক দেশের হয়ে লড়াই করতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তাতে রাশিয়ান আগ্রাসন বিন্দুমাত্র কমেনি, বরং বেড়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানী কিয়েভের (Kyiv) কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে রুশ সেনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভও (Kharkiv) এখন রুশ সেনাবাহিনীর দখলে। এই অবস্থায় রাশিয়ান আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে।
কিন্তু এবার আরও এক গুরুতর অভিযোগ উঠল রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে মহিলাদের বর্বরভাবে ধর্ষণ করছে। যদিও নিজের দাবি স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি কুলেবা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও ইউক্রেনিয়ান বিদেশমন্ত্রী দাবি যাচাই করতে পারেনি।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, “যখন আপনার শহরে বোমাবর্ষণ হয়, যখন অধিগৃহীত শহরে মহিলাদের ধর্ষণ করা হয় তা বর্বরতা। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের কাছে এই রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। রাশিয়ান সেনারা যখন একের পর এক শহরে ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ করেছে তখন আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে কথা বলাও খুবই সমস্যার। আমাদের কাছে সভ্যতার দেওয়া একটি মাত্র উপায়ই রয়েছে যার মাধ্যমে ইউক্রেনে হওয়া যাবতীয় অন্যায়ের বিচার হবে এবং সেক্ষেত্রে আইনই আমাদের একমাত্র ভরসার জায়গা।”
একদিকে যখন ধরা পড়া রাশিয়ান সেনাদের ইউক্রেনিয়দের সৌজন্যতা দেখানোর ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল, তখন রাশিয়ান সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের মারাত্মক অভিযোগ ওঠা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে প্রমাণ ছাড়া কোনও অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী যদি নিজের দাবি স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতেন তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেত বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।