Donald Trump-Elon Musk: ‘দোস্ত দোস্ত না রাহা..’, ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের গদি থেকে ছুড়ে ফেলা হোক, চাইছেন ইলন মাস্ক!

Donald Trump-Elon Musk: দিন কয়েক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনকল্যাণ বিলকে অত্যন্ত খারাপ পদক্ষেপ বলেছিলেন ইলন মাস্ক। এরপর তিনি নিজের প্রশাসনিক পদও ছেড়ে দেন। এদিকে ট্রাম্প আবার তাঁর এই আচরণকে 'হতাশাজনক' বলেছেন।

Donald Trump-Elon Musk: দোস্ত দোস্ত না রাহা.., ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের গদি থেকে ছুড়ে ফেলা হোক, চাইছেন ইলন মাস্ক!
ডোনাল্ড ট্রাম্প-ইলন মাস্কের বন্ধুত্ব শেষ?Image Credit source: PTI

|

Jun 06, 2025 | 6:44 AM

ওয়াশিংটন: বন্ধুত্বে ফাটল? ইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কে ক্রমে অবনতি হচ্ছে। আর যতই সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে, ততই দু’জন একে অপরের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছেন। একদিকে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন যে ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে সরকারি যাবতীয় চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হবে। এর ঘণ্টাখানেক পরই মাস্কও পাল্টা জবাবে স্পেসএক্সের (SpaceX) ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট তৈরি স্থগিত করে দেওয়ার কথা জানালেন।

দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসার পিছনে বড় হাত ছিল বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন, তাঁর হয়ে প্রচার থেকে শুরু করে বিপুল অর্থ ঢেলেছিলেন তিনি। বন্ধুত্ব রক্ষা করেছিলেন ট্রাম্পও। নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে জায়গা করে দেওয়া থেকে সকলের সামনে ধন্যবাদ জানানো, এমনকী শুধুমাত্র ইলন মাস্ককে কুর্সি দিতে নতুন প্রশাসনিক পদও তৈরি করে দিয়েছিলেন। কার্যত হরিহর আত্মা হয়ে উঠেছিলেন ট্রাম্প-মাস্ক। সেই বন্ধুত্বেই এবার ভয়ঙ্কর ফাটল ধরেছে।

দিন কয়েক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনকল্যাণ বিলকে অত্যন্ত খারাপ পদক্ষেপ বলেছিলেন ইলন মাস্ক। এরপর তিনি নিজের প্রশাসনিক পদও ছেড়ে দেন। এদিকে ট্রাম্প আবার তাঁর এই আচরণকে ‘হতাশাজনক’ বলেছেন।

এবার এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি বোমা ফেললেন ইলন মাস্ক। টেসলা কর্তার দাবি, জেফারি এপস্টেইন ফাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আছে। সেই কারণে এই ফাইল জনগণের সামনে আনা হচ্ছে না। তাঁর এই দাবি যে সত্যি, তা কিছুদিনেই প্রমাণ হবে বলেও জানিয়েছেন মাস্ক।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ট্রাম্পকে যাতে ইমপিচ করা হয় অর্থাৎ প্রেসিডেন্টের গদি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেই দাবিও করেছেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্প বনাম মাস্কের দ্বন্দ্ব শুরু হতেই এক্স  হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী পোস্ট করেছিলেন, “প্রেসিডেন্ট বনাম ইলন, কে জিতবে? আমি ইলনের উপরে বাজি ধরছি। ট্রাম্পকে ইমপিচ করা উচিত এবং জেডি ভান্সকে প্রেসিডেন্ট করা হোক”। এই পোস্টে ‘ইয়েস’ কমেন্ট করে আসেন ইলন মাস্ক নিজেই।

একদিকে যেখানে ট্রাম্প বলছেন, ইলন মাস্কের কোম্পানিগুলি যে পরিমাণ অর্থের সরকারি সাহায্য পায়, তা অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল, সেখানেই ইলন মাস্ক আবার দাবি করেছেন, তিনি না থাকলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততেই পারতেন না ট্রাম্প। এবার দুই ‘প্রাক্তন বন্ধু’র সংঘাত কোথায় গিয়ে থামে, তাই-ই দেখার।