
ওয়াশিংটন: মাঙ্কিপক্স। কোভিডের পর আরও এক ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও পৌঁছে গিয়েছে এই ভাইরাস। অনেকের মনেই কৌতূহল রয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী ঘটে? চেহারা কি বদলে যায়? এবার এক সংক্রামিত ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় এগিয়ে এলেন তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিবরণ নিয়ে। সিলভার স্টিল একজন মার্কিন সমকামী প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকা। তিনি গত জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ ধরে তিনি সংক্রমণের লক্ষণগুলি নথিভুক্ত করেছেন। আর তারপর তা ভাগ করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলাই বাহুল্য সেই পোস্ট এখন ভাইরাল।
তিনি দুই সপ্তাহ ধর তাঁর মুখের ফুসকুড়ি ছোট থেকে বড় হওয়া এবং তারপর কালো হয়ে গিয়ে, অবশেষে মিলিয়ে যাওয়ার মোট ৯টি ছবির একটি কোলাজ পোস্ট করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতাটি জানিয়েছেন, ফুসকুড়িগুলি দেখে যা মনে হচ্ছে ঠিক ততটা বেদনাদায়ক ছিল। সঙ্গের ক্যাপশনে সিলভার স্টিল লিখেছেন, “মাঙ্কিপক্সের সময়রেখা। আমি আপনাদের সকলকে এটি দিচ্ছি, যাতে আপনারা ভাইরাসটি আক্রান্ত হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে (উপসর্গগুলি) কেমন দেখায় তার একটি উদাহরণ দেখতে পারেন। কারুর ঘৃণা সৃষ্টি করা আমার লক্ষ্য নয়, আমার লক্ষ্য সকলকে (এই বিষয়ে) শিক্ষিত করা। সবার একরকম উপসর্গ দেখা যায় না। তবে, আমাকে একাধিক চিকিৎসক বলেছেন, আমার কেসটি একটি ‘ক্লিনিক্যালি নিখুঁত’ উদাহরণ। এটি (ছবিগুলি) সিডিসির বর্ণনা এবং বিভিন্ন মেডিক্যাল জার্নালেও ব্যবহার করা হচ্ছে।”
সুস্থ হওয়ার পর তোলা একটি ফটোও তিনি ওই পোস্টে দিয়েছেন। সেটি সম্পর্কে এই সমকামী প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা বলেছেন, “দ্বিতীয় ছবিটি হল গতকাল সংক্রামন থেকে মুক্তির পর আমার প্রাণ খোলা হাসির। আমি সম্পূর্ণ ভাইরাস মুক্ত কি না জানতে আগামীকাল আমার ডাক্তারকে দেখাব। তারপর যাব চুল কাটতে, যাতে ফের নিজেকে মানুষ বলে মনে করতে পারি। নির্দ্বিধায় এই ছবিটি শেয়ার করুন। তথ্য শব্দটি ছড়িয়ে দিন, ভাইরাস নয়।”
সিলভার স্টিল আরও জানিয়েছেন, বেদনাদায়ক ফুসকুড়িগুলি শুধু যে তাঁর মুখে হয়েছিল, তা নয়। শরীরের অন্যান্য অংশেও হয়েছিল। ‘ইনসাইডারে’র প্রতিবেদন অনুসারে, সিলভার স্টিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের একাধিক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর মুখে ব্রনর মতো ফুসকুড়ি লক্ষ্য করেছিলেন। তাই তাঁর সন্দেহ, কোনও একটি পার্টি থেকেই তিনি সংক্রামিত হয়েছিলেন। শীঘ্রই অন্যান্য উপসর্গও দেখা দিয়েছিল। কী সেগুলি? তাঁর মুখের লিম্ফ নোডগুলি ফুলে গিয়েছিল। ফলে খাবার গিলতে ব্যথা হচ্ছিল। নড়াচড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল।