
বেজিং: চিনে (China) মহিলার হার কমে গিয়েছে। বিয়ের জন্যও মেয়ে মিলছে না। তাই প্রতিবেশী দেশ থেকে মহিলাদের কিনছে চিনের পুরুষেরা। মাত্র ২৫ হাজার টাকাতেই মহিলাদের কিনে নিয়ে যাচ্ছে চিনের পুরুষেরা। তবে বিয়ের জন্য নয়, যৌন পিপাসা মেটাতেই পড়শি দেশের মেয়েদের ব্যবহার করছে চিনের পুরুষেরা। এককথায় বলা যায়, মহিলাপাচারের (women trafficking) ব্যবসা চলছে চিনে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তর কোরিয়ার মহিলা, ইয়েনমি পার্ক নিজের জীবনের কথা তুলে ধরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন।
কিম জং-উনের রুদ্ধশ্বাস শাসন থেকে বেরোতেই ইয়েনমি পার্ক উত্তর কোরিয়া থেকে চিনে পালিয়ে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন, একটা ভাল, শান্তিময় জীবন পাবেন। কিন্তু, চিনে এসে তাঁর জীবন আরও নরকে পরিণত হয় বলে জানান। চিনের মানব পাচারের শিকার হয়েছেন ইয়েনমি। কেবল ইয়েমনি নন, তাঁর মায়ের জীবনও ছারখার হয়ে গিয়েছে।
ইয়েনমিকে মাত্র সাড়ে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে দালালেরা। তারপর আবার তাঁকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ইয়েনমি জানান, তাঁকে বহু লোক ব্যবহার করেছে। শুধু ইয়েনমি নন, তাঁর মতো অনেকেরই জীবন এভাবে নষ্ট হয়েছে বলে ভিডিয়োবার্তা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এই যুবতী। তিনি আরও জানান, অ্যান্ড্রি নামে এক ব্যক্তি একটি মেয়েকে কিনেছিলেন। তারপর তার বন্ধুরাও মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন চালায় এবং ধর্ষণ করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, মেয়েটির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি ধর্ষিতা হয়েছেন।
চিনে মহিলার সংখ্যা হ্রাস পাওয়াই এই ধরনের ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চিন সরকার দীর্ঘদিন এক সন্তান নীতি নিয়েছিল। তারপর চিনারা মেয়েদের তুলনায় ছেলে সন্তান পছন্দ করে। তাই কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। যার ফলে চিনে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যার হার অত্যন্ত কমে যায়। আর তার ফলে চিনের যুবকেরা বিয়ের জন্য মেয়ে পাচ্ছে না। তাই যৌন পিপাসা মেটাতে পড়শি দেশ থেকে মেয়েদের কিনে এনে ব্যবসা শুরু করেছে। যার ফলে চিনে নারী পাচার ব্যাপকহারে চলছে বলে খবরে উঠে এসেছে।