গাজা: বছর ঘুরতে চলল, এখনও যুদ্ধ থামার নাম নেই ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে। এতদিন হামাসের আক্রমণের পাল্টা জবাবে ইজরায়েল হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালাত। এবার সরাসরি হামাস নেতার কোল ফাঁকা করল নেতানিয়াহুর বাহিনী। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও দুই নাতি-নাতনিকে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে খতম করল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স।
ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের তরফে জানানো হয়েছে, গাজা স্ট্রিপে একটি এয়ার স্ট্রাইকে মৃত্যু হয়েছে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে, আমির, হাজ়িম ও মহম্মদের। হামাস নেতার তিন ছেলে মধ্য গাজায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে যাচ্ছিল। মাঝ পথেই তাদের উপরে হামলা চালানো হয়।
ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিজেদের সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছিলেন তিন ভাই। এই সময়ে গাড়ির উপরে ড্রোন হামলা করা হয়। গাড়ির ভিতরে থাকা ৬ জনেরই মৃত্য়ু হয়।
জানা গিয়েছে, ওই সময়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ইসমাইল। সেই সময়ে তিনি জানতে পারেন তিন ছেলের মৃত্যুর কথা। সাক্ষাৎকারে বসে তিনি জানান, চার ছেলের মধ্যে তিন ছেলেই শহিদ হয়েছে। তারা জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদকে স্বাধীন করতে।
হামাস নেতা বলেন, “ওই অপরাধী শত্রুরা প্রতিশোধ ও খুনের স্পৃহা দ্বারা পরিচালিত। ওরা কোনও আইন বা নীতিকে মানে না। শত্রুরা বিশ্বাস করে যে কোনও নেতার পরিবারকে নিশানা করলে, ওরা চাপে পড়ে নিজেদের মানুষদের দাবি প্রত্যাহার করে নেবে। যারা বিশ্বাস করে যে আমার ছেলেকে নিশানা বানিয়ে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করানো যাবে, তারা ভুল ধারণা রেখেছেন।”
আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, হামাস নেতা আমির হানিয়ে হামাসের মিলিটারি শাখার স্কোয়াড কম্যান্ডার। তাঁর দুই ভাই হাজিম ও মহম্মদ হামাস মিলিটারি বাহিনীর নীচু স্তরের নেতা। হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়ে কাতারে থাকেন।