
আচ্ছা কোন দেশের মানুষের বুদ্ধি সবচেয়ে বেশি জানেন? বুদ্ধি বা আইকিউ কিন্তু একটি সংখ্যামাত্র, এমন নয়। আসলে, কোনও জাতির শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃত ও ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক ক্ষমতা, এই সব কিছুর মধ্যের রয়েছে কোনও জাতির আইকিউ। আসলে গড় আইকিউ অনেকটা বেশি হওয়ার অর্থ হল, প্রযুক্তি হোক বা যা কিছু দ্রুত বদল সামলে নেওয়ার মতো একটি দক্ষ ও উদ্ভাবনী প্রজন্ম।
আইকিউ তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের নাম দেখলেই বোঝা যায়, এই তালিকায় এশিয়া ও ইউরোপের আধিপত্য অনেক বেশি। এই তালিকায় ১০৬.৪৮ গড় আইকিউ নিয়ে এই শীর্ষে রয়েছে জাপান। তার ঠিক পরেই ১০৬.৪৭ স্কোর নিয়ে রয়েছে তাইওয়ান।
এই দেশগুলির সাফল্যের চাবিকাঠি কী? জাপানের ক্ষেত্রে শিক্ষা, নিয়মানুবর্তিতা এবং প্রযুক্তিতে নিরন্তর বিনিয়োগই হল তাদের এই সাফল্যের চাবিকাঠি। আর তাইওয়ান বা দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও ছবিটা একই রকম। তাইওয়ান, একটি ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কিন্তু আজ তারা সেমিকন্ডাক্টর তৈরির ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের নজরে। আর যার যার মূলে রয়েছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত ভিত্তিক শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা। সিঙ্গাপুরের মানুষের গড় ১০৫.৮৯ আর হংকংয়ের ক্ষেত্রে তা ১০৫.৩৭।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত এই বিষয়গুলো শুধুমাত্র মুখস্থ করে শেখা যায় না। এই বিষয়গুলো প্রজেক্ট-ভিত্তিক পদ্ধতি। যা হাতে-কলমে কাজ করতে ও বাস্তব সমস্যার সমাধান করতে শেখায়।
শীর্ষ দশে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তাদের গড় আইকিউ ১০১.২। সে দেশ আবার সুষম, ছাত্র-কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়াও রয়েছে জার্মানি। তাদের স্কোর ১০১। যা জার্মানির শিল্প ক্ষমতা ও কারিগরি দক্ষতার প্রতীক।