ঢাকা: আর কত নামবে? বাংলাদেশের একের পর এক ঘটনা এই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে বারবার। যে মুক্তিযোদ্ধা নিজের জীবনের বাজি ধরে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন, তাঁকেই ‘সম্মানিত’ করল ইউনূস বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধাকে জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্থা করা হল, ঘোরানো হল গোটা এলাকা। ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হল এলাকাবাসীর কাছে।
ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশের বিজয় মাস। দিন কয়েক আগেই, ১৬ ডিসেম্বর পালিত হয়েছে বিজয় দিবস। সেই মাসেই কি না মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুটল জুতোর মালা। হাত জোড় করে সকলের কাছে ক্ষমা চাইতে হল তাঁকে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে হেনস্থার ভিডিয়ো। ১৯৭১-র বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবপ্রাপ্ত যোদ্ধাকেই প্রকাশ্যে হেনস্থা করা হল জুতোর মালা পরিয়ে। হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ানো হয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
জানা গিয়েছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই কানুর সঙ্গে এমন অভব্য আচরণ করে কিছু যুবক। জুতোর মালা পরিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা। তাঁকে কুমিল্লা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁর অপরাধ, তিনি আওয়ামি লীগ সমর্থন করতেন।
এমন হেনস্থার পর ওই মুক্তিযোদ্ধা ভেঙে পড়েছেন। বাংলাদেশি এক সংবাদমাধ্যমকে আব্দুল হাই কানু বলেন, “হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গালায় দিয়ে ভিডিয়ো করে। কার কাছে বিচার চাইব? মামলা করে কী হবে? ওরা সবাই জামাতের রাজনীতি করে। আমি আওয়ামি লীগ করলেও কখনও তাদের কোনও ক্ষতি করিনি। উল্টো আওয়ামি লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।”
ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, “দেশের স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করা বীর যোদ্ধাদের এই সম্মান দেওয়াই মনে হয় বাকি ছিল”।