India Slams Pak at UN: ‘ইমরানের কাঁধে সওয়ার হয়ে ক্ষমতা জিইয়ে রেখেছেন মুনির’, পাকিস্তানকে তোপ ভারতের

India Pakistan Row at UN: উপস্থিত ছিল ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধিরাও। বিতর্কের বিষয় 'শান্তির জন্য নেতৃত্ব'। সেখানেই পাক প্রতিনিধির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারতের পাঠানো দূত পর্বতানেনি হরিশ বলেন, 'ভারত ছয় দশক আগে স্বেচ্ছায় সিন্ধু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান গত তিন বছর ধরে যে ভাবে সংঘাত ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গিয়েছে, তা দিনশেষে ওই চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।'

India Slams Pak at UN: ইমরানের কাঁধে সওয়ার হয়ে ক্ষমতা জিইয়ে রেখেছেন মুনির, পাকিস্তানকে তোপ ভারতের
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে তোপ ভারতেরImage Credit source: PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Dec 31, 2025 | 9:37 PM

নয়াদিল্লি: জেলবন্দি ইমরান খানকে নিয়ে পাকিস্তানে যাতনা কম নয়। প্রায় এক মাসের বেশি সময় তাঁর মুখ দেখেনি পরিবার। মাঝে আবার সেই নিয়ে তুঙ্গে চড়েছিল ইমরানের-মৃত্যুর জল্পনা। এবার সেই ইমরান কাঁটাতেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে বিঁধল ভারত। এদিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ইমরান ইস্যুত কটাক্ষ করল নয়াদিল্লির পাঠানো স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। পড়শি দেশে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসীদের আখড়াকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুনরায় টেনে তুলে ধরলেন তিনি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্ক সভা। উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিল ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধিরাও। বিতর্কের বিষয় ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’। সেখানেই পাক প্রতিনিধির বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারতের পাঠানো দূত পর্বতানেনি হরিশ বলেন, ‘ভারত ছয় দশক আগে স্বেচ্ছায় সিন্ধু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান গত তিন বছর ধরে যে ভাবে সংঘাত ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গিয়েছে, তা দিনশেষে ওই চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে।’ চলতি বছরের পহেলগাঁও হামলার দায়ও পাকিস্তানের দিকেই ঠেলেছেন হরিশ। কিন্তু এই বিতর্কের মাঝে উল্লেখ করেননি দিল্লি বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ।

ইমরান-ইস্যুতে তোপ

পাকিস্তানের অভ্য়ন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য়ান্য় সদস্যদের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। ইমরান খানকে জেলবন্দি করে রাখা, তাঁর দলকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত— প্রতিটি পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন তিনি। গোটা প্রক্রিয়াটিকে ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ বলেও কটাক্ষ করেন নয়াদিল্লির পাঠানো দূত।

তাঁর কথায়, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীকে দিনের পর দিন জেলে ঢুকিয়ে রাখা, তাঁর দলকে উপড়ে ফেলে দিয়ে সমস্ত রকমের নির্বাচনী কার্যকলাপ থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া, সেনার হাতে সাংবিধানিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া। আসলে এই সবটাই সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ক্ষমতায় জিইয়ে রাখার মাধ্যম।’