ডাভোস: চলতি বছরেই জার্মানি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন(World Trade Organization) অনুমতি দিলে ভারতে বিশ্বের বাকি দেশের খাদ্য শস্যের জোগান দিতে এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু, তারপরেও কয়েকদিন আগে আচমকা গম রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এদিকে চলতি বছরে ভারতের গমের ফলন ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন এই সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি, সেই প্রশ্নে বাড়ছিল চাপানউতর। এরই মধ্যে এবার এই ইস্যু মুখ খুললেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্যও ভারতের কাছে আবেদন জানালেন।
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এদিন অনুনয়ের সুরে ক্রিস্টালিনা জানান, “আমি জানি ভারতের কাঁধে প্রায় ১৩৫ কোটির বেশি মানুষের খাওয়ানোর দায়িত্ব রয়েছে। আমি এটাও জানি, চলতি মরসুমে তাপপ্রবাহের জন্য ফলন ধাক্কা খেয়েছে। তবে আমি ভারতকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। কারণ ভারতের দেখাদেখি আরও অনেক দেশই শীঘ্রই এই রাস্তায় হাঁটার সাহস পাবে। আর এটা হলে গোটা বৈশ্বিক রফতানি কাঠামোটাই বড় ধাক্কা খাবে”।
তাঁর এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতর। চাপানউতর বেড়েছে ভারতের অন্দরেও। বিরোধীদের দাবি, সরকারের এই আচমকা সিদ্ধান্তের জেরে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বে দেশের কৃষকেরা। এমনকী এবারে দেশে গমের ভালো ফলন হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, টিউনেশিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, লেবানন, ভিয়েতনামে গম রফতানির জন্য বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দলও পাঠানোর কথা ছিল ভারতের। কিন্তু তারমধ্য়েই একেবারে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে বেড়েছে উদ্বেগ। একইসঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে গোটা বিশ্বব্যাপী গম রফতানির বাজার ধরা জন্য বড় দরজা খুলেছিল ভারতের কাছে। এমতাবস্থায় আইএমএফ প্রধানের অনুরোধে ভারতের অবস্থান বদলায় কিনা এখন সেটাই দেখার।