India-Bangladesh: ‘কে অভিভাবক’, টের পাবেন ইউনূস! বাংলাদেশের ‘রোজগারে’ কাঁটা ফেলল নয়াদিল্লি

India-Bangladesh: এমনকি, বাংলাদেশের বন্দর কেন্দ্রীক এলাকায় চিনকে বর্ধিত শিল্পাঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউনূস। সেই ঘটনার রেশ কাটতেই মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশের বছর পুরনো ব্যবসা বন্ধ করেছে ভারত।

India-Bangladesh: কে অভিভাবক, টের পাবেন ইউনূস! বাংলাদেশের রোজগারে কাঁটা ফেলল নয়াদিল্লি
বাঁদিকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, ডানদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীImage Credit source: PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Apr 12, 2025 | 9:06 PM

কলকাতা: বাংলাদেশে বাণিজ্যে বাঁধ ফেলল। বন্ধ হল বছর পুরনো ট্রান্সশিপমেন্ট প্রথা। যার প্রভাব পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরেও।

কী ট্রান্সশিপমেন্ট প্রথা?

২০২০ সালে কেন্দ্র সরকারে উদ্যোগে শুরু হয় ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা। যার আওতায় বাংলাদেশকে ব্য়বসার কাজে নিজের জমি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে ভারত সরকার। জানা যায়, এই জমি বা স্টেশন ব্যবহার করেই পদ্মা পাড়ের রাজ্যে ভুটান, নেপাল ও মায়ানমারের মতো একাধিক দেশের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে থাকে।

কোন রুটে চলত এই ট্রান্সশিপমেন্ট?

গোটা বিশ্বেই নিজেদের উৎপাদন করা বস্ত্র রফতানি করে থাকে বাংলাদেশ। আর সেই রফতানি কাজেই এতদিন সাহায্য় করত ভারত। প্রথমে ভারতীয় সীমানায় এসে পৌঁছত বাংলাদেশি পণ্যগুলি। তারপর সেখান থেকে তা ভারতের বন্দর বা বিমানবন্দর হয়ে চলে যেত নির্দিষ্ট দেশে। সুতরাং, বলা যেতে পারে, এই ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থায় আখেড়ে লাভটা বাংলাদেশেরই হত। যা আপাতত বন্ধ হল বলেই খবর।

তবে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রান্সশিপমেন্ট প্রথা বন্ধের কারণে বাংলাদেশের নেপাল ও ভুটানের মতো দেশে ভারত হয়ে রফতানি কোনও বাধা পড়বে না।

কাল হল বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্ক?

ইউনূসরাজে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। সম্প্রতি, চিন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ‘অবরুদ্ধ’ তকমা দিয়ে নিজেদের ‘বঙ্গোপসাগরের অভিভাবক’ আখ্যান দিয়েছিলেন ইউনূস। এমনকি, বাংলাদেশের বন্দর কেন্দ্রীক এলাকায় চিনকে বর্ধিত শিল্পাঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউনূস। সেই ঘটনার রেশ কাটতেই মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশের বছর পুরনো ব্যবসা বন্ধ করেছে ভারত।

প্রভাব পড়েছে পেট্রাপোলে

পেট্রাপোল সীমান্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নির্দেশিকার পর বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ। ক্ষতি হবে তাদের বস্ত্রের ব্যবসা। অবশ্য, কিছুটা প্রভাব পড়বে ভারতের বুকেও। পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমস্ত কাজ হয় তার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কাজ হত ট্রান্সশিপমেন্টের। যার ফলে বহু গাড়ি এবং শ্রমিকেরা লাভবান হতেন। কিন্তু সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করায় সরকারের কোন ক্ষতি না হলেও এখানকার গাড়ি এবং শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।