Indian-Origin Doctor: বিমানে হৃদরোগে আক্রান্ত সহযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jan 06, 2023 | 12:12 PM

London To India Flight: সম্প্রতি এই ঘটনার কথা সামনে এলেও জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর নভেম্বর মাসে। সে সময় ব্রিটেন থেকে ভারতে আসছিলেন ওই চিকিৎসক।

Indian-Origin Doctor: বিমানে হৃদরোগে আক্রান্ত সহযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক
ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক বিশ্বরাজ ভেমালা

Follow Us

লন্ডন: ব্রিটেনের বিরমিংহামের হেপাটোেলজিস্ট হিসাবে কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক বিশ্বরাজ ভেমালা। লন্ডন থেকে তিনি ভারতে আসার জন্য বিমানে চড়েছিলেন তিনি। ১০ ঘণ্টার দীর্ঘ বিমানযাত্রার মধ্যেই তাঁর এক সহযাত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৪৩ বছরের ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হতেই এগিয়ে আসেন ওই চিকিৎসক। তিনি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির। এমনকি এক বার নয়। বিমানের মধ্যে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ওই ব্যক্তির। দুবারেই প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন ওই চিকিৎসক। এর জেরেই প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনার কথা বিরমিংহাম ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে। সেখানে ওই চিকিৎসককে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।

বিরমিংহাম ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল টুইটে লিখেছে, “আমাদের হাসপাতালের হেপাটোলজিস্ট চিকিৎসক বিশ্বরাজ ভেমালা বিমানের মধ্যে সহযাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই এই কাজ করেছেন তিনি। বিমান অবতরণের পর হৃদরোগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে জরুরিকালীন পরিষেবায় ভর্তি করা হয়েছে। ভেমালা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই ব্যক্তিকে।”

সম্প্রতি এই ঘটনার কথা সামনে এলেও জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর নভেম্বর মাসে। সে সময় ব্রিটেন থেকে ভারতে আসছিলেন ওই চিকিৎসক। বেঙ্গালুরু আসছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর মা থাকেন। মাকে ব্রিটেনে নিয়ে যেতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। সেই বিমানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন এক সহযাত্রী।

এই বিষয়টি নিয়ে ভেমালা বলেছেন, “ওই বিমান জরুরিকালীন মেডিক্যাল কিট ছিল। এতে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু তা থাকায় আমার খুব সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু তা খুবই স্বল্প সুবিধা নিয়ে চিকিৎসা করেছি। খুব ঝুঁকি নিয়েই করতে হয়েছে সেই কাজ। রোগীর পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে তা দেখার উপায় ছিল না বিমানে। আমরা পাঁচ ঘণ্টা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। তা করতে পেরে নিজেরও খুব ভাল লাগছে। এক জনের প্রাণ বাঁচাতে পেরে আমি খুশি।”

Next Article