জাকার্তা: রবার বাগান থেকে রবার সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ঠাকুমা। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নাতিরা জরুরি পরিষেবায় খবর দিয়েছিলেন। নিজেরাও জঙ্গলের মধ্যে খোঁজ চালাচ্ছিলেন ঠাকুমার। আর খুঁজতে খুঁজতেই তাঁদের সামনে পড়েছিল ২২ ফুট দীর্ঘ এক দৈত্যাকার অজগর সাপ। তার পেটের একটা জায়গা ফুলে ছিল। সন্দেহ হতেই সাপটিকে মেরে তার পেট কেটেছিলেন গ্রামবাসীরা। দেখা যায় সাপটির পাচনতন্ত্রে কুঁকড়ে পড়ে আছে ঠাকুমার দেহ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (২৩ অক্টোবর), ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশে। জাম্বির তেরজুন গাজা গ্রামে থাকতেন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়া জাহরা। শুক্রবার বিকেলে (২১ অক্টোবর) তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজনদের জানিয়েছিলেন, স্থানীয় রাবার বাগান থেকে রাবার সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন। আর ফেরেননি। তেরজুন গাজা গ্রামের প্রধান, আন্তো জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই রাতেই সাপটি প্রথমে জাহরাকে কামড় দিয়েছিল। তারপর, তাঁকে পেচিয়ে ধরে পিষে দিয়েছিল। তারপর, তাঁর শ্বাসরোধ করে দিয়েছিল সাপটি। শেষে তারপরে মাথার দিক থেকে গিলে নিয়েছিল তাঁকে। এই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা অন্তত ঘন্টা দুয়েক ধরে চলে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আন্তো বলেছেন, “গ্রামবাসীরা সাপটিকে হত্যা করে এবং তার পেট কেটে ফেলে। তারপর সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল। আমরা যে মহিলাক খুঁজছিলাম, তিনি ছিলেন সাপটির পেটের ভিতর। গ্রামের সবাই এখন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারণ, এই এলাকায় একটি ২৭ ফুটের অজগরও রয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি দৈত্যাকার অজগর দেখা গিয়েছে। ২৭ ফুটের অজগরটিকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তার বিশাল আকৃতির জন্য সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রামের দুটি ছাগলকে সে গিলে ফেলেছে।”
বস্তুত, বিশালাকার অজগর সাপদের বাসস্থান হিসেবে সুপরিচিত ইন্দোনেশিয়া। বহু সংখ্যায় অজগর দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে। জাহরার আগেও বহু মানুষ সেই দেশে অজগরের শিকার হয়েছেন। তবে, প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষ অজগরের নিয়মিত খাদ্য নয়। তারা মূলত বন্য প্রাণী শিকার করে খায়।