
জেরুজালেম: সংঘাতের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। ইরান, ইজরায়েল কেউই পিছু হটতে রাজি নয়। লাগাতার মিসাইল দিয়ে আঘাত হেনেই চলেছে দুই দেশ। ধ্বংস হচ্ছে পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে মিসাইল ঘাঁটি, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, গ্যাস ফিল্ড। সাধারণ মানুষের বাড়িঘরও রক্ষা পাচ্ছে না। এর মধ্যেই এল বড় আপডেট। ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইজরায়েলের মিসাইল।
শোনা যাচ্ছে, তেল আভিভের ‘অ্যারো মিসাইল’ ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসছে। আর কতদিন ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের মোকাবিলা করবে ইজরায়েল, উঠছে প্রশ্ন।
ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা রুখতে ইজরায়েল ব্যবহার করছে ‘অ্যারো ২ ও ৩ মিসাইল’। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দাবি মার্কিন আধিকারিকের। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ কতদিন চলবে ঠিক নেই। এই অবস্থায় কতদিন নিজেদের প্রতিরক্ষা মজবুত রাখতে পারবে তেল অভিভ?
ইরানের প্রায় ৪০০ মিসাইলের মধ্যে ইজরায়েলের রাজধানীতেই আছড়ে পড়েছে ২০টি মিসাইল। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে আয়রন ডোমের চেয়েও বেশি কার্যকর ‘অ্যারো’, দাবি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। ‘অ্যারো’, ‘আয়রন’ ডোম ছাড়াও ‘ডেভিড স্লিঙ্গ’-ও রয়েছে ইজরায়েলের। অ্যারো ফুরিয়ে আসার বিষয়ে মার্কিন আধিকারিকেরা ওয়াকিবহাল
ইরানি মিসাইল থামাতে মার্কিন ডিফেন্স সিস্টেম ‘থাড’ বা যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টিও আলোচনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইজরায়েলের দাবি, এক থেকে দু সপ্তাহের মধ্যেই ইজরায়েলের লক্ষ্য পূরণ হবে। ইরানের সমস্ত পরমাণু গবেষণাগার ধুলোয় মিশে যাবে। এই দাবি করেছেন ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের আধিকারিকরাই।
আইডিএফের দাবি, আগামী ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ইরানের সব ব্যালিস্টিক মিসাইল, সেনাঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। অন্তত ৬০টি ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান লাগাতার ইরানের এক ডজন পরমাণু ঘাঁটি ও অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালাচ্ছে।
আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডাফরিন দাবি করেছেন, ইজরায়েলের এই হামলায় পশ্চিম ও মধ্য ইরানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার বদলে ইসফাহান থেকে এখন মিসাইল দাগছে ইরান, দাবি তাঁর।