তেহরান: সরকার বিরোধী মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। অপরাধ শুধু এইটুকুই। এই লঘু পাপেই গুরু দণ্ড দিল ইরান সরকার (Iran)। তিনজনকে ফাঁসিতে চড়াল সে দেশের সরকার। শুক্রবার ইরান সরকারের তরফে জানানো হয় তিন জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যকেও ফাঁসি (Hang) দেওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়। সরকারের এই ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরই দেশের অন্দরে ফের একবার অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার ইরানের ইসফাহান শহরের বিচার বিভাগের তরফে টুইট করে জানানো হয়, মাজিদ কাজ়েমি, সালেহ মিরহাসিমি ও সইদ ইয়াগোবি নামক তিন ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সরকার বিরোধী মিছিলে যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসাবেই তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়, এর আগে গত ১৬ নভেম্বর বাসিজ প্যারামিলিটারি বাহিনীর দুই সদস্য ও একজন পুলিশ অফিসারকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্য়মে দাবি, শুক্রবার যে তিনজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ফাস্ট ট্রাক মামলা ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং তাদের উপরে শারীরিক নির্যাতন করে বয়ান আদায় করা হয়েছিল। যদিও ইরান সরকারের তরফে অত্যাচার করে বয়ান আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তিনজনকে ফাঁসির সাজা দেওয়ার পরই দেশজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। সাধারণ মানুষকে হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার তিনজনের ফাঁসির সাজা মিলিয়ে এই নিয়ে ইরানে মোট সাতজনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হল সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে। গত বছর হিজাব নিয়ে কড়া নিয়ম চালু করার হয়। এরপরই গত ১৬ সেপ্টেম্বর সঠিকভাবে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনি নামক ২২ বছরের এক যুবতীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পরই দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে বিক্ষোভ দেখান ইরানের মহিলারা। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয় প্রশাসনও। বিক্ষোভকারীদের উপরে গুলিও চালায় পুলিশ।