ISI on Imran Khan: পাকিস্তানি সেনার পাশে দাঁড়িয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইএসআই প্রধান
Pakistan Army: সাধারণত প্রচারের আলো থেকে খানিক দূরে থাকতেই পছন্দ করেন আইএসআই প্রধান। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর থেকে ইমরান খান ঠিক কী সাহায্য চেয়েছিলেন, তা খোলসা করেননি আইএসআই প্রধান।
করাচি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে এবার বিষোদগার করলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই প্রধান। আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট নাদিম অঞ্জুম জানিয়েছেন, ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ‘অবৈধ ও অসংবিধানিক’ ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন নাদিম। পাক সেনার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইমরান খান সরব হয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইএসআই প্রধানের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ইমরান খান দাবি করেছিলেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক থেকে নাদিম বলেন, “সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধান তাঁর কথামতো অবৈধ ও অসাংবিধানিক কাজ করতে রাজি না হওয়ার কারণেই এই অভিযোগ করেছেন তিনি।” নাদিম অঞ্জুম জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নীতিগতভাবে যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই কারণে ইমরানে অযাচিত অনুরোধ মেনে তারা কাজ করেনি।
সাধারণত প্রচারের আলো থেকে খানিক দূরে থাকতেই পছন্দ করেন আইএসআই প্রধান। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর থেকে ইমরান খান ঠিক কী সাহায্য চেয়েছিলেন, তা খোলসা করেননি আইএসআই প্রধান। যদিও আইএসআই প্রধানের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা আসাদ উমার।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেদেশের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতার পর থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে ৩০ বছর পাকিস্তান শাসন করেছে পাক সেনা। এমনকী নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ও বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পাক সেনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে পাকিস্তানি সেনার মদত ছিল। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে অঞ্জুম স্বীকার করেছেন যে অতীতে পাকিস্তানি সেনা ভুল করলেও সম্প্রতি নীতিগতভাবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা বাহিনী।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের মসনদ থেকে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিরোধী জোট। শত চেষ্টা করেও গদি বাঁচাতে সফল হননি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করে শাহবাজ শরিফ। সরকার জানিয়েছে, আগামী বছরের অক্টোবর মাসে নির্ধারিত সময়ে দেশে নির্বাচন হবে। শাহবাজ শরিফ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।