ISI meets Terror Outfits: তৈরি ২০০ ভারতীয়ের হিট লিস্ট! গোপন বৈঠকে ভারতে হামলার ছক সাজাল আইএসআই

Pakistan: গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আইএসআই -এর আধিকারিকদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গোপনে বৈঠক হয়েছে।

ISI meets Terror Outfits: তৈরি ২০০ ভারতীয়ের হিট লিস্ট! গোপন বৈঠকে ভারতে হামলার ছক সাজাল আইএসআই
পাক জঙ্গিদের স্বর্গ হয়ে উঠছে কাশ্মীর? প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 8:26 AM

নয়া দিল্লি: কাশ্মীর (Kashmir) জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা চোখে পড়েছে। একের পর এক হামলায় প্রাণ গিয়েছে সাধারণ নাগরিকদের। উপত্যকা জুড়ে চলঠে ব্যাপক ধড়রাকড়ও। এমনকি সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক সেনা জওয়ানেরও। এরই মধ্যে আইএসআই (ISI), জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যে বৈঠক করেছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) মুজফফরাবাদে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল পাক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিলিয়েন্স এজেন্সির (ISI) আধিকারিকেরা। সেখানেই ভারতীয়দের কী ভাবে হত্যা করা হবে তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর গত ২১ সেপ্টেম্বর সেই বৈঠক হয়েছে মুজফফরাবাদে। ভারতীয় গোয়ান্দাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে জানা যাচ্ছে, আইএসআই -এর অফিসারদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গোপনে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে যাতে উপত্যকায় এক সঙ্গে বহু মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়। কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী বা গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করে, এমন কাশ্মীরিদের চিহ্নিত করে যাতে হত্যা করা যায়, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের যে সব নাগরিক বিজেপি বা আরএসএস ঘনিষ্ঠ, তাঁদেরকেও টার্গেট করা হবে। জানা গিয়েছে, অন্তত ২০০ জনের একটি হিট-লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। যাদেরকে মেরে উপত্যকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চায় পাকিস্তান।

সেই তালিকায় নাম রয়েছে সাংবাদিকদেরও। কারা সেনাবাহিনী বা সরকারের সোর্স হিসেবে কাজ করে, তাদেরও চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে বহু কাশ্মিরী পণ্ডিতের নাম, যারা পণ্ডিতদের কাশ্মীরে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে। আইএসআই চায়, সেই সব জঙ্গিদের কাজে লাগাতে, যারা সেনাবাহিনীর সন্দেহের তালিকায় নেই। যে সব কাশ্মীরিদের কোনও অপরাধের তেমন কোনও পুরনো রেকর্ড নেই, অথচ যারা দীর্ঘদিন ধরে উপত্যকায় সন্ত্রাসকে সমর্থন করে আসছে, তাদেরই এই হত্যার কাজে লাগাতে চায় আইএসআই।

এই সব কাজের জন্য। উরি ও তাংধার দিয়ে কাশ্মীরে পৌঁছে দেওয়া হবে পিস্তল ও গ্রেনেড। আরও জানা যাচ্ছে যে, এই কাজে লাগানোর জন্য একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে, গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিতে তাদেরকে কাজে লাগানো হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও কাশ্মীরে পুঞ্চের মেন্ধর জেলার নার খাস জঙ্গলের কাছে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের। সেই সময় এক আধিকারিক-সহ মোট দু’জন গুরুতর জখম হন। লাগাতার গুলির লড়াইতে এক সেনা আধিকারিক ও এক জওয়ান শহিদ হন। সম্প্রতি পরপর ৫ দিনেই হত্যা করা হয়েছে ৭ জন সাধারণ নাগরিককে। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার হিন্দু বা শিখ। এক কাশ্মীরী পণ্ডিতকে দোকানে ঢুকে গুলি করে খুনের ঘটনার পরই উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছে একাধিক কাশ্মীরী পণ্ডিত পরিবার।  এরই মধ্যে চলতি মাসেই কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

আরও পড়ুন: Weather Update: পুজো শেষ মুখ ভার আকাশেরও! দশমীর রাত থেকেই শুরু খেলা, নিম্নচাপে লক্ষ্মীপুজোর আগে ভাসছে এই জেলাগুলি…