Hassan Nasrallah: নিকেশ হিজবুল্লা প্রধান, গোপন আশ্রয়ে ইরানের সুপ্রিম লিডারও, কোন ভয়ঙ্কর মোড় নিচ্ছে যুদ্ধ?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Sep 28, 2024 | 4:12 PM

Israel-Lebanon: এ দিন ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ সোসানি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, "হাসান নাসরাল্লাহ মৃত। হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না।"

Hassan Nasrallah: নিকেশ হিজবুল্লা প্রধান, গোপন আশ্রয়ে ইরানের সুপ্রিম লিডারও, কোন ভয়ঙ্কর মোড় নিচ্ছে যুদ্ধ?
হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।
Image Credit source: Chris McGrath/Getty Images

Follow Us

বেইরুট: চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যুদ্ধ। এবার হিজবুল্লা প্রধানকে নিকেশ করল ইজরায়েলি সেনা। লেবাননের পর এবার বেইরুটকে নিশানা করেছে ইজরায়েল। বেইরুটের এয়ার স্ট্রাইকে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ-কে নিকেশ করা হয়েছে বলেই দাবি করেছে ইজরায়েলি সেনা। যদিও হিজবুল্লার তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকেই হিজবুল্লা প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এদিকে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর মিলতেই ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনিকে গোপন আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ সোসানি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “হাসান নাসরাল্লাহ মৃত। হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না।”

এই খবরটিও পড়ুন

এদিকে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনি-কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তাও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তেহরান সূত্রে খবর।

জানা গিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছিল ইরান। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর পর ইরান কী পদক্ষেপ করে, তাই-ই এখন দেখার।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইজরায়েল লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। মূলত হিজবুল্লার ঘাঁটিগুলিতেই হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। দক্ষিণ বেইরুটে রাতভর গোলাবর্ষণ চলে। পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাও উত্তর ইজরায়েলে হামলা চালায়। হিজবুল্লা এই হামলার দায় স্বীকার করার পরই বেইরুটে হামলা এবং তাতেই হিজবুল্লা প্রধানকে নিকেশ করার দাবি।

হিজবুল্লা প্রধান নাসরাল্লাহ বিপুল ক্ষমতা ছিল লেবাননে। যুদ্ধ থেকে শুরু করে শান্তি চুক্তি, নাসরাল্লাহ-র পিছনে বিপুল সমর্থন ছিল। এর আগে ২০০৬ সালে লেবাননে ইজরায়েল যখন সেনা অভ্যুত্থান চালিয়েছিল, তখনও দাবি করা হয়েছিল যে নাসরাল্লাহ মারা গিয়েছেন। যদিও দিনকয়েক পরই জানা যায়, এয়ার স্ট্রাইকে হিজবুল্লার দক্ষিণ ফ্রন্টের কম্যান্ডার নিহত হলেও, অক্ষত রয়েছেন হিজবুল্লা প্রধান। ৩২ বছরের শাসনে হাসান নাসরাল্লাহ হিজবুল্লার সেক্রেটারি-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইজরায়েলের উপরে সন্ত্রাসবাদী হামলা, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও ইজরায়েলি সেনার হত্যার অভিযোগ রয়েছে নাসরাল্লার বিরুদ্ধে। হিজবুল্লার মূল কৌশলী ও নীতি নির্ধারক হিসাবেই বরাবর দেখা গিয়েছিল নাসরাল্লাহ-কে।

Next Article