Israel-Hamas War: ‘যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার হবে গাজার কসাইয়ের…’, হুমকি এর্দোগানের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 04, 2023 | 11:30 PM

Israel-Hamas War: অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি-র কমিটির বৈঠক থেকে হুমকি দিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এর্দোগান। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিরোধে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সমর্থক তুরস্ক। এদিন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য ইজরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছে। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য, পশ্চিমা দেশগুলিরও কড়া নিন্দা করেছেন এর্দোগান।

Israel-Hamas War: যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার হবে গাজার কসাইয়ের..., হুমকি এর্দোগানের
এর্দোগান এবং নেতানিয়াহু
Image Credit source: AFP

Follow Us

ইস্তান্বুল: গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি আক্রমণের জন্য যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচার হবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ইস্তান্বুলে আয়োজিত, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি-র কমিটির বৈঠক থেকে হুমকি দিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এর্দোগান। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন বিরোধে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সমর্থক তুরস্ক। এদিন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য ইজরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছে। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থনের জন্য, পশ্চিমা দেশগুলিরও কড়া নিন্দা করেছেন এর্দোগান। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমী দেশগুলি গাজায় শিশু হত্যার জন্য ইজরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছে এবং তারাও এই অপরাধে জড়িত।”

এদিন, নেতানিয়াহুর সমালোচনা করতে গিয়ে, যুগোস্লাভিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচারের প্রসঙ্গও টেনে আনেন এর্দোগান। হেগের একটি ট্রাইব্যুনালে তাকে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এদিন এরদোগান বলেছেন, “নেতানিয়াহু, এই মুহূর্তে গাজার কসাই। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিতারের বাইরেও, গাজার কসাই হিসেবেও তার বিচার করা হবে। যেভাবে মিলোসেভিচের বিচার করা হয়েছিল। যারা হামাসের অজুহাত ব্যবহার করে, নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের মানবতা বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। পশ্চিমী শক্তিগুলি অন্ধ এবং বধির হয়ে রয়েছে।” ন্যাটোর অধইকাংশ সদস্য দেশই হামাসকে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে। তবে, ন্যাটো সদস্য হয়েও তুরস্কের দৃষ্টিভঙ্গী আলাদা। হামাস তাদের চোখে প্যালেস্তিনীয় মুক্তি বাহিনী।

বস্তুত, নিজেকে মুসলিম বিশ্বের মসিহা হিসেবে তুলে ধরতে চান এর্দোগান। এর সঙ্গে তাঁর ঘরোয়া রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে ছিল। তাঁর দলের শিকড় ইসলামপন্থী। গত মাসে পশ্চিমী দেশগুলি এবং অন্যান্যদের সঙ্গে গাজা নিয়ে আলোচনার জন্য ওআইসি এবং আরব লিগের দেশগুলি মিলে মুসলিম দেশগুলির একটি নয়া গোষ্ঠী তৈরি করেছে। এর্দোগান এদিন জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই গোষ্ঠী আলোচনা চালিয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আরও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই গোষ্ঠীর সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিনও তিনি বলেছেন, গাজার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। জরুরি ভিত্তিতে এর সংস্কারের প্রয়োজন। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স – গোটা বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করে না।

তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ভূমিকার মূল্যায়ন করতে হবে। সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুতেরেসের আন্তরিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের কারও পক্ষে এই ব্যবস্থা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের কাঠামোয় শান্তি বা মানবতার পক্ষে আশার আলো আনা সম্ভব নয়।” আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলির ইজরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

Next Article