Sheikh Hasina: ‘বাংলাদেশে নতুন সূর্যের উদয় হবে’, হাসিনার বক্তব্যে চিন্ময়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও
Sheikh Hasina: এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। সেখানেই ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন হাসিনা। তিনি বলেন, "আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ।"
লন্ডন: তিনি এখন বাংলাদেশে নেই। তাঁর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশে হিংসার আবহে নতুন আশার আলো দেখালেন শেখ হাসিনা। রবিবার লন্ডনে আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন, বাংলাদেশের এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পিছনে যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল, এদিন সেই অভিযোগও করেন হাসিনা।
এদিন লন্ডনে ওই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ জমায়েত হন। সেখানেই ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন হাসিনা। তিনি বলেন, “আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এখন বাংলাদেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত মানুষ। বাংলাদেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশ জ্বলছে। সেইসময় প্রবাসীরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হয়েছে। থানাগুলোয় আগুন দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এইসব ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
আওয়ামী লীগ যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছে, সেকথা তুলে ধরেন হাসিনা। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলাম। আমি মানুষের জীবন নিতে আসিনি। আমি মানুষের জীবন উন্নত করেছি। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি বলেই আমাকে এখন বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করছে।”
এই খবরটিও পড়ুন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পিছনে গভীর চক্রান্ত ছিল বলে মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, “কোনও কোটা ছিল না। সব দাবি মানা হয়েছিল। কিন্তু, দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন চলে? এই আন্দোলনে কোনও নেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে এটা যে গভীর চক্রান্ত, তা বোঝা যাচ্ছিল।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে ‘খুনি’ বলে উল্লেখ করেন হাসিনা। বলেন, “ডক্টর ইউনূস ২০০৭ সালে দল গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ব্যর্থ হন। তারপরই ষড়যন্ত্র শুরু করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড যে ইউনূস, তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।”
সম্প্রতি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রান্ত হন বাংলাদেশের হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা। হাসিনার এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “আইনজীবী পর্যন্ত দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। অথচ কেউ আইনজীবী দাঁড় করাতে না পারলে সরকারের তরফে আইনজীবী দেওয়া দরকার।” বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশাবাদী হাসিনা। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার কেটে যাবে। নতুন সূর্যের উদয় হবে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাইয়ের শুরু থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠে বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত সেই আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। ভারতে পৌঁছন। হাসিনা দেশ ছাড়ার তিনদিনের মাথায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয় বাংলাদেশে। হাসিনার বিরুদ্ধে একাধিক গণহত্যা-সহ একাধিক মামলা হয়।