Japan: বিমান জুড়ে শিৎকারের শব্দ! আট থেকে আশিকে একসঙ্গে বসে দেখতে হল অশ্লীল সিনেমা

Japan: বিমান যাত্রা শুরু করার পরই, দেখা যায় এই দৃশ্য। আসলে, দূরপাল্লার বিমানে বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকে। এই বিমানেও সিনেমা দেখার বন্দোবস্ত ছিল। কিন্তু, বিমান ছাড়তেই চালু হয়েছিল এক প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা। কাজেই সেটা চালু হতেই ঘুম উড়ে গিয়েছিল অধিকাংশ যাত্রীর।

Japan: বিমান জুড়ে শিৎকারের শব্দ! আট থেকে আশিকে একসঙ্গে বসে দেখতে হল অশ্লীল সিনেমা
প্রতীকী ছবি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Oct 07, 2024 | 10:13 PM

টোকিয়ো: মাঝ আকাশে উড়ছে বিমান। যাত্রীদের কেউ কেউ চোখ ঢেকে বসে রয়েছেন। কেউ তাঁর সামনের স্ক্রিনটা ঢেকে দিয়েছেন লিফলেট দিয়ে। কিন্তু, ঢাকাঢুকি দিয়ে কি লাভ? শোনা যাচ্ছে শব্দ। গোটা বিমান জুড়ে আহ-উহ – শোনা যাচ্ছে শিৎকার। উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের কান চেপে ধরছেন। কারও পাশে বসে রয়েছে বয়স্ক বাবা-মা। তাঁরা কীভাবে অস্বস্তি গোপন করবেন বুঝে পাচ্ছেন না। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে জাপানের হানেদা যাওয়ার জন্য কোয়ান্তাস (Qantas) সংস্থার ফ্লাইট কিউএফ৫৯-এ উঠেছিলেন তাঁরা। বিমান যাত্রা শুরু করার পরই, দেখা যায় এই দৃশ্য। আসলে, দূরপাল্লার বিমানে বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকে। এই বিমানেও সিনেমা দেখার বন্দোবস্ত ছিল। কিন্তু, বিমান ছাড়তেই চালু হয়েছিল এক প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা।

সেই সিনেমায় নগ্নতা তো ছিলই, ছিল খুল্লামখুল্লা যৌন দৃশ্যও। কাজেই সেটা চালু হতেই ঘুম উড়ে গিয়েছিল অধিকাংশ যাত্রীর। পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা যাত্রা করছিলেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়বস্তু দেখতে আগ্রহী ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু, গোটা পথ জুড়ে সেটাই দেখতে বাধ্য হন। চরম অস্বস্তিতে কাটে তাদের গোটা যাত্রাপথ। সিনেমাটি দেখানো শুরু হতেই, অনেক যাত্রীই সেটা বদল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বারবার চেষ্টা করেও, যাত্রীরা তাঁদের নিজস্ব পছন্দের সিনেমা বাছাই করতে পারেননি। ‘ফ্যামিলি মুভি’ দেখার পরিবর্তে ওই ফ্লাইটের সবাইকে ‘ড্যাডিও’ নামের প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা দেখতে হয়।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, গোটা সিনেমাটি জুড়ে খুব স্পষ্ট যৌন দৃশ্য রয়েছে। রয়েছে ভরপুর নগ্নতা। সব মিলিয়ে বিমানে থাকা ব্যক্তিদের যেতে হয়েছে এক বিশ্রী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। যাত্রীদের একজন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “এটি পজ করা যায়নি। স্ক্রিন ডিম করে দেওয়া যায়নি। বন্ধ করা তো অসম্ভব ছিল। প্রত্যেকের জন্যই একটা অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ছিল। বিশেষ করে যারা পরিবার-পরিজন এবং শিশুদের নিয়ে যাত্রা করছিলেন, তাদের অবস্থা সবথেকে শোচনীয় ছিল।” আরেক যাত্রী বলেছেন, “আমার পাশের আসনে একটা বাচ্চা ছিল। তার মা শৌচাগারে গিয়েছিল। তাই আমিই তার সামনের স্ক্রিনটা একটা প্যামফলেট দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম। শিশুদের এবং তাদের বাবা-মায়েদের জন্য যাত্রাটা মোটেও ভাল ছিল না। গোটা বিমান জুড়ে উহ-আহ শব্দ শোনা যাচ্ছিল।”

যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিমান সেবিকারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যাত্রীদের তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁরা কোন সিনেমা দেখতে চান? দুর্ভাগ্যবশত, তাঁরাও চেষ্টা করে অন্য কোনও সিনেমা চালাতে পারেননি। বিমানে এই ধরনের সিনেমা চললে, প্রাপ্তবয়স্ক দৃশ্যগুলি বাদ দিয়ে দেখার বিকল্পও থাকে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে সেটাও করা যায়নি। তাই যাত্রীদের পাশাপাশি অস্বস্তিতে পড়ে যান বিমানসেবিকারাও। পরে, কোয়ান্তাস সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। তারা স্বীকার করে নিয়েছে, ওই সিনেমাটি বিমানে চালানোর জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাদের দাবি, এক প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই, গোটা যাত্রাপথ ওই প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমা চলেছে বিমানে। সেটি কোনোভাবেই বদলানো যায়নি। কীভাবে এটা ঘটল, তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।