TV9 বাংলা ডিজিটাল : নদীর পারে দাঁড়িয়ে দূর থেকে মনে হবে একটা নীল রঙের জাহাজ ভেসে বেড়াচ্ছে জলে। আর পাঁচটা সাধারণ জাহাজের মতোই। কিন্তু, জাহাজের ভেতরের ছবিটা সম্পূর্ণ অন্য। প্রত্যেক কেবিন জুড়ে আছে সাদা চাদর পাতা বিছানার পর বিছানা। যেন জলজ হাসপাতাল((Floating Hospital)!
বাংলাদেশের(Bangladesh) বরিশালের(Barisal) মীরগঞ্জ নদীর বুকে সত্যিই রয়েছে এই জলজ্যান্ত জলজ হাসপাতাল। ‘জীবনতরী ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল’(Jibon Tari Impact Hospital)। আছেন চার জন চিকিৎসক। টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই, এমন দুঃস্থ রোগীদের কাছে সাক্ষাৎ ‘মসীহা’। চারটি স্পিডবোট এই হাসপাতালের ‘অ্যাম্বুলেন্স’। রোগী পরিবহণের কাজ করে স্পিডবোটগুলি। সাধারণ সর্দি-জ্বর, চোখ-কানের চিকিৎসাই চলে এখানে। কিছু ক্ষেত্রে রেটিনা বা কর্নিয়ার অস্ত্রোপচারও হয়। সেটুকুও করাতে পারেন না অনেকে। তাঁদের পাশেই দাঁড়ায় এই হাসপাতাল। প্রতি বছর বন্যার সময়ে যখন ভেসে যায় চতুর্দিক, তখন বটগাছের মতো আশ্রয় হয়ে ওঠে এই জলজ হাসপাতাল।
আরও পড়ুন : কালী পুজোর উদ্বোধনে থাকায় ক্ষমাভিক্ষা সাকিবের! অক্সিজেন পেল কট্টরপন্থীরা
১৯৯৩ তে চারজন চিকিৎসকের হাত ধরে ‘ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা উদ্যোগ নেয় ঘরে ঘরে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার। অধিকাংশ ঘরেই চিকিৎসা করার সামর্থ্য থাকে না। সেই চিন্তাকে মাথায় রেখেই ১৯৯৯ তে তৈরি হয় ‘ইমপ্যাক্ট জীবনতরী হাসপাতাল’( Jibon Tari Impact Hospital)। হাসপাতালের দেখাশোনা করেন উদ্যোক্তারাই।
রোজ ১০০-১৫০ রোগীর চিকিৎসা চলে এখানে। খরচ যৎসামান্য। সেটুকুও না দিতে পারলে রোগীকে নিরাশ করেনা জীবনতরী। পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। তবুও জীবনের লড়াইতে উপস্থিত ‘জীবনতরী’(Jibon Tari Impact Hospital)।