
ওয়াশিংটন: ফের মার্কিন ক্যাপিটলে (US Capitol) হামলা। এর আগে ট্রাম্প (Donald Trump) আমলে মার্কিন ক্যাপিটলে শেষ হামলা হয়েছিল। উগ্র ট্রাম্পপন্থীরা লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল গোটা ক্যাপিটল। তারপর ফের মার্কিন সংসদে হামলা। শুক্রবার মার্কিন ক্যাপিটলের সিকিউরিটি চেকপয়েন্টে হামলা হয়। একটি গাড়ি নিরাপত্তাকর্মীদের চাপা দিয়ে চলে যায়। আঘাতে মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক পুলিশকর্মী। নিরাপত্তাকর্মীদের চাপা দেওয়ার পর গাড়ি থেকে ছুরি হাতে বেরিয়ে আসছিল এক দুস্কৃতী। তখন তাকে গুলি করে ক্যাপিটল পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুস্কৃতীর।
এ বার সেই হামলায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। শনিবার জো বাইডেন জানান, শুক্রবারের ঘটনায় তিনি ও জিল অত্যন্ত দুঃখিত। বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, “ঘটনা সম্পর্কে শুনে জিল ও আমি মর্মাহত হয়েছি। ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় আধিকারিক উইলিয়াম ইভানস প্রাণ হারিয়েছেন। অন্য একজন পুলিশকর্মী জীবনের জন্য় লড়াই করছেন।”
ক্যাপিটল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই হামলা সন্ত্রাসী হামলা মনে না হলেও তদন্ত চলবে। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি নীল রঙের সেডান গাড়ি নিরাপত্তাকর্মীদের এসে ধাক্কা মারে। তারপর আহত পুলিশকর্মীদের দেখা যায়। দুস্কৃতীকে গুলি করে মারার পর নিরাপত্তাকর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে। এরপর একটি হেলিকপ্টারে পুলিশও ক্যাপিটল অঞ্চলে আসে।
৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের বক্তব্য শোনার পর ক্যাপিটল ভবনে হামলা করেছিলেন উগ্র ট্রাম্পপন্থীদের। সেই হামলায় গোটা ক্যাপিটলে ভাঙচুর চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। জানালার কাচ থেকে হাউস স্পিকারের চেয়ার সব তছনছ করে দিয়েছিল ট্রাম্পপন্থীরা। গোটা বিশ্ব এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছিল। কাঠগড়ায় উঠেছিল ট্রাম্পের উস্কানি। তবে এই অভিযোগে ট্রাম্পকে ইমপিচড করতে ব্যর্থ হয় বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: পাশের ঘরেই ছিল দিদি-জামাইবাবু, গোঙানির শব্দ শুনে দরজা ঠেলতেই চোখ কপালে উঠল শ্যালিকার