প্যারিস: লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠলেও কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্যতম নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। মাঠের মধ্যে তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ফুটবলপ্রেমীরা। জীবনের মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফুটবলের একটি বিশ্বকাপজয়ী এবং একটি বিশ্বকাপের রানার্স। মাঠের বাইরের জীবনেও এমবাপে নজর কাড়েন তাঁর চরিত্রের জন্য। দুঃস্থদের মধ্যে দানের জন্যও পরিচিত এই ফরাসি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপ পর্ব মিটতেই বড়দিনে সেই দৃশ্যেই দেখা গিয়েছে প্যারিসে। প্যারিস সাজাঁ ফাইন্ডেশনের হয়ে সান্তা সেজে এমবাপে উপহার বিলিয়েছেন প্যারিসের শরণার্থী ক্যাম্পে। সেই ঘটনার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তা দেখে এমবাপেকে নিয়ে মেতেছেন তাঁর ভক্তরা। সেই সব ছবি ভাইরাল।
শরণার্থী শিবিরে সান্তা ক্লজ সেজে গিয়েছিলেন এমবাপে। লাল রঙ পোশাকে মুখের হাসি অমলিন থাকতে দেখা গিয়েছে। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে শরণার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন বড়দিনের উপহার। এমবাপের থেকে উপহার পেয়ে খুশি শরণার্থীরাও।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন এমবাপে। কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন বুট। পাশাপাশি ফাইনালে হ্যাকট্কিক করে বহুদিন পর ফিরিয়ে এনেছেন রেকর্ডের স্মৃতি। ফাইনালের প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না ফ্রান্সকে। আর্জেন্টিনার আক্রমণের সামনে ছন্দহীন ছিল ফরাসি ব্রিগেড। ফাইনাল ম্যাচে তখন ২-০ গোলে হারছে ফ্রান্স। কিন্তু ম্যাচের রং বদলে দেন এমবাপে। ৯৭ মিনিটের ব্যবধানে ২টি গোল করেন। সেই গোলই বদলে দেয় ম্যাচের রঙ। নিশ্চিত হার বাঁচিয়ে ফাইনালের নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়েও এমবাপের আধিপত্য বজায় ছিল। মেসির সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে থাকেন তিনি। অতিরিক্ত সময়ে নীল-সাদা ব্রিগেডকে মেসি এগিয়ে দেওয়ার পরও পেনাল্টিতে সমতা ফিরিয়েছেন এমবাপে। তাও ম্যাচ শেষের মিনিট দুয়েক আগে। যদি ট্রাইবেকারে হারে লুসেল স্টেডিয়ামে উদাস হয়েছিল এমবাপেকে। কিন্তু ফ্রান্সে ফিরে ফের হাসি ফুটেছে তাঁর মুখে।