নিউ ইয়র্ক: আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে ‘হাশ মানি’র (Hush Money) অভিযোগের তদন্ত হবে। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথমবার এমন ঘটনা, যেখানে প্রাক্তন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ (Criminal Charges) আনা হল। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি এমনই রায় দিয়েছে। এক পর্নতারকার সঙ্গে নাম জড়ায় ট্রাম্পের। যৌন কেলেঙ্কারির মামলা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে। অভিযোগ, মুখ বন্ধ রাখতে ওই পর্নতারকাকে লক্ষ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই পর্নতারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতেই ট্রাম্প এমনটা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এবার সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হবে। যদিও ট্রাম্প এই মামলায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছেন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, আরও একবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়ার ইচ্ছে তাঁর।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী ধারা যুক্ত হয়েছে, তা এখনও সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, আগামিদিনে বিচারক এই বিষয়গুলিও সামনে আনবেন। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কোনও অপরাধ নেই। এটি একেবারে রাজনীতির প্রকাশ। তাঁরাও আদালতে বিষয়টি মোকাবিলা করবেন বলে জানান। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস সূত্রে খবর, ট্রাম্পকে আত্মসমর্পণের কথা বলা হতে পারে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে ওই পর্নতারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মেলানিয়ার সঙ্গে বিয়ের পর এই ঘটনা ঘটে বলেও দাবি করেন ওই পর্নতারকা। এই অভিযোগকে সামনে রেখে গত সপ্তাহেই খবর ছড়ায়, গ্রেফতার করা হতে পারে ডোনাল্ট ট্রাম্পকে। এমন খবরে কিছুটা ঘাবড়েই গিয়েছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার বিড়ম্বনা বাড়ল।
ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ এই অভিযোগের তদন্ত করছেন। গ্র্যান্ড জুরি এই মামলার যাবতীয় খুটিয়ে দেখে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই পর্নতারকাকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বিপুল টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।