Lionel Messi: নাম শুনে বন্দুক ফেলে দেয় জঙ্গিরা, প্রাণে বেঁচে যান এক বৃদ্ধা, শুধু খেলোয়াড় নাকি লিও মেসি আসলে দেবদূত?

Leo Messi, Argentina: লিওনেল মেসিকে 'বিশ্বের সেরা ফুটবলার' বলেছেন অনেক খেলোয়াড় ও কোচ। কিন্তু দক্ষিণ ইজরায়েলের এই ঘটনা তাঁকে সেরা খেলোয়াড়ের থেকেও আরও বড় কোনও আসনে বসিয়ে দিতে পারে এক লহমায়।

Lionel Messi: নাম শুনে বন্দুক ফেলে দেয় জঙ্গিরা, প্রাণে বেঁচে যান এক বৃদ্ধা, শুধু খেলোয়াড় নাকি লিও মেসি আসলে দেবদূত?

Jun 26, 2025 | 12:46 PM

“জ্যোৎস্না পার হয়ে বলটা গিয়ে পড়ল আসামের জঙ্গলে,

সেখানে তিনজন টেররিস্ট বসে আছে সাইনাইড খাবে বলে

তিনজনই লাফিয়ে উঠল, আঃ মৃত্যু! দাঁড়াও!”

 

‘বেহালার ছেলেটা’র জায়গায় হয়তো এভাবেই লেখা যেতে পারত রোজারিওর ছেলেটা। সেই ছেলেটা, যাঁর নাম শুনে কোনও জঙ্গি নিজের বন্দুক ফেলে দিতে পারে। তাঁকে ছেলে না বলে দেবদূত বলা যায় না? এর উত্তর দিতে পারবেন দক্ষিণ ইজরায়েলের ৯০ বছর বয়সী এস্থার কুনিও। লিওনেল মেসিকে ‘বিশ্বের সেরা ফুটবলার’ বলেছেন অনেক খেলোয়াড় ও কোচ। এর মধ্যে রয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড, সের্জিও রামোস, পেপ গুয়ার্দিওয়ালা, লুকা মদ্রিচের মতো বড় নাম। কিন্তু এস্থারের ঘটনা তাঁকে সেরা খেলোয়াড়ের থেকেও আরও বড় কোনও আসনে বসিয়ে দিতে পারে এক লহমায়।

কিন্তু কী হয়েছিল সেদিন? যখন ৯০ বছর বয়সী আর্জেন্তিনীয় এস্থার কুনিওর কোলের উপর বন্দুক নামিয়ে রাখল হামাসের সদস্যরা! সেই ঘটনা জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। যেদিন ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় হামাস সহ প্যালেস্টাইনের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী।

সেদিন সকালে গাজা সীমান্তের কাছাকাছি কিবুৎজ নির ওজ-এর বাসিন্দা এস্থার কুনিওর বাড়িতে হঠাৎ ঢুকে পড়ে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি। ঢুকে এস্থারের কাছে তারা জানতে চায় তাঁর বাড়ির বাকি লোকজন কোথায়। তখন এস্থার বলেন, “তোমরা আরবিতে কথা বলছ। আমি আরবি জানি না, আমি এখানের স্থানীয় ভাষা হিব্রুও জানি না। আমি আর্জেন্টাইন-স্প্যানিশে কথা বলতে জানি”। প্রশ্ন কর্তা এস্থারের ভাষা না বুঝলেও আর্জেন্টিনা শব্দটা বুঝতে পারে। তখন সে পাল্টা প্রশ্ন করে, “আর্জেন্টিনা?”।

সেই অবস্থায় এস্থার আবার বলেন, “হ্যাঁ, মেসি যে দেশ থেকে, আমিও সেই দেশের মানুষ”। তখন সেই বন্দুকধারী বলেন, “মেসি! আমি মেসিকে পছন্দ করি”। এর পরই সেই বন্দুকধারী এস্থারের কোলের উপর নিজের বন্দুকটি রাখেন ও তাঁর সঙ্গে একটি ছবি তোলেন। আর সেই ছবি পরবর্তীতে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।