Nirav Modi: নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ লন্ডন হাইকোর্টের

Nirav Modi extradition case: বুধবার (৯ নভেম্বর), পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদীকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিল লন্ডন হাইকোর্ট।

Nirav Modi: নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ লন্ডন হাইকোর্টের
পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদীকে দেশে ফেরানোর সব রাস্তা পরিষ্কার

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 09, 2022 | 5:28 PM

লন্ডন: অবশেষে, পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদীকে দেশে ফেরানোর সব রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেল। বুধবার (৯ নভেম্বর), এই হিরে ব্যবসায়ীকে ভারতে প্রত্যার্পণের নির্দেশ দিয়েছে লন্ডন হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, “মিঃ মোদীর মানসিক অবস্থা এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি এমন নয় যে তাকে হস্তান্তর করা অন্যায্য বা নিপীড়নমূলক হবে। আমরা এই বিষয়ে সন্তুষ্ট।”

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায়, আনুমানিক ২০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনের এক জেলা আদালতও, নীরব মোদীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল পলাতক হিরে ব্যবসায়ী। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে বন্দি আছে সে।

মূলত দুটি কারণে, জেলা আদালতের রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নীরব মোদীকে। ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটস-এর অনুচ্ছেদ ৩ অনুযায়ী, তার ভারতে প্রত্যর্পণ অন্যায্য বা দমনমূলক কি না, তা বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া, প্রত্যর্পণ আইন ২০০৩-এর ৯১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন হবে কি না, তাও বিবেচনা করা হয়। এই আইনটিও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক।

তবে, নীরব মোদীকে লন্ডন থেকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড কারাগারে আনার ক্ষেত্রে আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। লন্ডন হাইকোর্টের এিনের রায়ের বিরুদ্ধে সে ১৪ দিনের মধ্যে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে। তবে, হাইকোর্ট যদি মনে করে তার মামলাটি আইনের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ, তবেই তাকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হবে।

ভারতে মূলত দুটি পৃথক ফৌজদারী তদন্তের মুখে পড়তে হবে নীরব মোদীকে। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে জাল ‘লেটার অব আন্ডারটেকিং’ বের করে লাভবান হয়েছিল তার সংস্থাগুলি। সেই অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট তার বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের তদন্তও করছে। এছাড়া, প্রমাণাদি লোপাট করা এবং সাক্ষীদের হত্যার হুমকি দেওয়ার আরও দুটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।