Afghanistan Blast: জোরালো বিস্ফোরণ, কাবুলের ‘চিনা হোটেলে’ বন্দুকধারীদের হামলা, জানলা দিয়ে ঝাঁপ অতিথিদের

Loud blast near China guest house in Kabul: সোমবার (১২ ডিসেম্বর) কাবুলের এক চিনা গেস্টহাউসের কাছ থেকে শোনা গেল বিস্ফোরণের জোরালো শব্দ। তারপর চলল বৃষ্টির মতো গুলি।

Afghanistan Blast: জোরালো বিস্ফোরণ, কাবুলের চিনা হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলা, জানলা দিয়ে ঝাঁপ অতিথিদের
কাবুলে এসে চিনারা সাধারণত এই হোটেলেই থাকেন, তাই হোটেলটি চিনা হোটেল নামেই পরিচিত

Dec 12, 2022 | 7:21 PM

কাবুল: সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ফের জোরালো বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল আফগান রাজধানী কাবুল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের শব্দটি এসেছে কাবুলের এক চিনা গেস্টহাউসের কাছ থেকে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলার শব্দও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “খুব জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর প্রচুর গুলি চলার শব্দও পাওয়া গিয়েছে।” উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে কাবুলে চিনা ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। তালিবান শাসনকে স্বীকৃতি না দিলেও, কাবুলে দূতাবাস খোলা রেখেছে চিন সরকার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সাদা রঙের হোটেলের তৃতীয় তলের একটি জানলা থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। ওই জানলা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, হোটেলটির নাম লংগান হোটেল। চিনা ব্যবসায়ী ও অন্যান্য নাগরিকরা কাবুলে এসে সাধারণত এই আট তলা হোটেলেই ওঠেন। এর জন্য, হোটেলটি চিনা হোটেল নামেই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিদেশি নগরিকদের উপস্থিতির কারণে হোটেলটি কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে। কিন্তু, সেই কড়া নিরাপত্তার মধ্য়েও কয়েকজন সশস্ত্র হামলাকারী হোটেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই আফগানিস্তানে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউ, তালিবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে কাবুলের কুটনীতিক এবং দূতাবাসগুলির নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার সঙ্গে এদিনের হামলার কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তালিবানদের এক সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, অজ্ঞাত সংখ্যক হামলাকারী হোটেলটিতে প্রবেশ করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তালিবান বাহিনী। দুই পক্ষের গুলির লড়াই চলছে। এএফপি-র সাংবাদিক জানিয়েছেন, তালিবানদের বিশেষ বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছে। ঠিক কী কারণে এই হামলা, তা অবশ্য এখনও অস্পষ্ট। তবে কাবুলে সাম্প্রতিককলে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পিছনে হাত ছিল আইএসআইএস খোরাসানের। তাই এদিনের হামলার পিছনেও এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কাবুলের হোটেলটিতে আগুন জ্বলছে। পিছনে একের পর এক বন্দুক চলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আরেকটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সশস্ত্র জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে হোটেলের জানালা দিয়ে পালাচ্ছেন হোটেলের অতিথিরা। অনেককে হাত ধরে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিচে ঝাঁপ মারছেন তাঁরা। এদিকে, চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, হামলাটি হয়েছে একটি চিনা গেস্টহাউসের কাছেই। কাবুলের চিনা দূতাবাস পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে। যদিও কাবুলের চিনা দূতাবাস থেকে এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।