LV-র স্যুটকেস, দামি জামা থেকে চেয়ার চুরি! বাংলাদেশেরই যেন ‘অ্যাকশন রিপ্লে’ সিরিয়ায়
Syria-Bangladesh Comparison: সিরিয়া আর বাংলাদেশ। মানচিত্রে পাশাপাশি না হলেও, বিগত কয়েক মাসের ঘটনাক্রম বলছে , এ যেন জেরক্স কপি। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এই লুঠতরাজের ছবিটা দেখে অনেকেরই চেনা চেনা ঠেকেছে।

দামাস্কাস: দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ব্যস লুটতরাজ শুরু। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রাসাদে ঢুকে হাতের সামনে যা পেল, তাই তুলে নিয়ে গেল সশস্ত্র বাহিনী ও তার সঙ্গে কিছু উৎসুক জনতা। জামাকাপড় থেকে শুরু করে লাক্সারি গাড়ি, বাদ পড়ল না কিছুই। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এই লুঠতরাজের ছবিটা দেখে অনেকেরই চেনা চেনা ঠেকেছে। কোথায় যেন একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল? ঠিকই আন্দাজ করেছেন, বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের পতনের পর এভাবেই গণভবনে লুঠপাট চালিয়েছিল বাংলাদেশি উৎসুক জনতা। ক্ষেতের মুলো থেকে পুকুরের মাছ, হাসিনার জামদানি শাড়ি থেকে ব্লাউজ- কিছুই ছাড়েনি।
সিরিয়া আর বাংলাদেশ। মানচিত্রে পাশাপাশি না হলেও, বিগত কয়েক মাসের ঘটনাক্রম বলছে , এ যেন জেরক্স কপি। কোটা সংস্কার নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন বাংলাদেশে রূপ নিয়েছিল গণআন্দোলনে। সেই আন্দোলনের মুখে পড়েই বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ইস্তফা দিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে।
হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাঁর বাসভবনে চলেছিল লুঠতরাজ। গণভবনের ভিতরে খাট, আলমারি, টেবিল, চেয়ার থেকে শুরু করে জামাকাপড়, খাবার, মাঠ থেকে ফসল, পুকুর থেকে মাছ পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে যায় উন্মত্ত জনতা। শাড়ি, ব্লাউজটুকুও বাদ পড়েনি সেই তালিকা থেকে। গর্বের সঙ্গে সেই সব ছবিও পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হাসিনার ব্লাউজ থেকে হাঁস পর্যন্ত চুরি!
চার মাস পর একই দৃশ্য সিরিয়ায়। বাশার আল-আসাদের সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছে সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। দামাস্কাস ছেড়ে রাশিয়া পালিয়ে গিয়েছেন আসাদ। তিনি দেশ ছাড়তেই ৩১ হাজার ৫০০ স্কোয়ার মিটারের আল-রাওদা প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঢুকে পড়ে জনগণ। প্রাসাদের গ্যারেজে মার্সিডিজ বেঞ্জ থেকে এসইউভি, বাইক, এটিভি, ট্রাক- যা কিছু ছিল, সব লুঠ করে নেয় সশস্ত্র বাহিনী।

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে লুট। PTI
সাধারণ মানুষকে প্রেসিডেন্টের বেডরুম থেকে দামি দামি জামাকাপড়, ব্যাগ, এমনকী কাপ-প্লেটও নিয়ে যেতে দেখা যায়। বহু মানুষকে ফুলদানি থেকে চেয়ার পর্যন্ত কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের সময় যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙতে দেখা গিয়েছিল, ঠিক একইভাবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাবা তথা সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি ভেঙে, তা দড়ি বেঁধে রাস্তায় টেনে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে।

আসাদ ও মুজিবরের ভাঙা মূর্তি।





