Japan earthquake: বিপর্যয়ের নেই শেষ, এক সপ্তাহ পর ফের থরথরিয়ে কেঁপে উঠল মধ্য জাপান
Japan another earthquake: নববর্ষের দিন ১৫৫টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছিল মধ্য জাপানে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই, ফের জোরাল ভূমিকম্পে কাঁপল মধ্য জাপান। তবে, সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
টোকিয়ো: বিপর্যযের হাত থেকে যেন মুক্তি নেই জাপানের। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই, ফের এক ৬.০ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পে, কেঁপে উঠল মধ্য জাপান। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, জাপানের উপকূলের কাছে সমুদ্রের নীচে হয়েছে এই ভূমিকম্প। তবে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরও এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও সতর্কতা দেওয়া হয়নি। এর আগে নববর্ষের দিন, মধ্য জাপানেই হয়েছিল ৭.৬ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প। এদিন সেই একই জায়গা ফের কেঁপে উঠল থর-থর করে।
বস্তুত, নববর্ষের দিন জাপানে একটি-দুটি নয়, ১৫৫টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছিল। তার মধ্যে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি-সহ আরও বেশ কয়েকটি বড় মাপের ভূমিকম্প ছিল। নববর্ষের ভূমিকম্পে, এখনও পর্যন্ত ২০২ জনের মৃ্ত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৫৬৫ জন। মৃত ১০২ জনকে শনাক্ত করা যায়নি। ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মধ্য জাপানের বহু ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নোটো উপদ্বীপের একটা বড় অংশে আগুন ধরে গিয়েছিল। বেশ কিছু বাড়িঘর আগুনে ঝলসে যায়। এর ঠিক পরদিনই, টোকিয়োর এক বিমানবন্দরে আবার দুটি বিমানের সংঘর্ষে বিমানদুটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। ওই ঘটনাতেও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সেই জোড়া বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি জাপান। নববর্ষের ভূমিকম্পের উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার পাশাপাশি, তার নীচে আটকে থাকা ব্যক্তিদের কাছে দ্রুত পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। প্রায় ৩,৫০০ জনের মতো লোক আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৩২৩ জন লোকের কোনও খোঁজ নেই। ভারী তুষারপাত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানকে আরও জটিল করে তুলেছে। ৪০০টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছেন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ। ৬০,০০০ বাড়িতে কোনও জল নেই। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে ১৫,৬০০ বাড়ি।