
কুয়ালালামপুর: বন্যা ও ভূমিধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি মালয়েশিয়ার। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উত্তর মালয়েশিয়ার কেলানটান শহরে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ঘর ছাড়া ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। আবার সেলাঙ্গর প্রদেশের বাতান কালি শহরে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬। নিখোঁজদের খোঁজে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।
বর্মার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কেলেনগান প্রদেশে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। ৩৯ হাজারের বেশি মানুষকে পার্শ্ববর্তী তেরেঙ্গানুতে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে। এই বন্যায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সে দেশের এমার্জেন্সি সার্ভিস অফিসার। এক সরকারি আধিকারিক জানান, কেলানটান শহর প্রায় ভাসছে। প্রায় ৩ মিটার (১০ ফুট) উপর দিয়ে জলস্তর বইছে।
অন্যদিকে, কুয়ালালামপুরের কাছে সেলাঙ্গর প্রদেশের বাতান কালি শহরে গত শুক্রবার যে ভূমিধস হয়েছিল, সেই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। দমকল, পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রায় ৬৮০ জন কর্মী উদ্ধারকাজে নেমেছেন। কিন্তু, এখনও নিখোঁজ সকলের হদিশ মেলেনি। তবে বুধবার ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে আরও কয়েকজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬। তার মধ্যে৮টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চেই কুয়ালালামপুরের শহরতলিতে অত্যাধিক বৃষ্টি এবং তার জেরে হওয়া ভূমিধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। আবার গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই ভয়াবহ বন্যায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এবছর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জন্য ইতিমধ্যে বিশেষ বরাদ্দ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন মালোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সবমিলিয়ে, বর্ষশেষে ভয়াবহ পরিস্থিতি মালয়েশিয়ায়।