
ঢাকা: চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। সেই দাবি মেনে না নিলেও অবশেষে বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেওয়ার সময় ভোটের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ভোটের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার বার্তাও দেন তিনি।
মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬-এর এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যে কোনও দিন বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট সময়ে রোডম্যাপ প্রদান করবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
মহম্মদ ইউনূসের আবেদন সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। সেই লক্ষ্যে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়, সে ব্যাপারেও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে ইউনূস বলেন, “দেশের বাইরের কোনও শক্তির কাছে স্বার্থ বিকিয়ে দেবেন না।” একই সঙ্গে তিনি নিশ্চিত করতে বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা যেন দেশকে দুর্নীতি-মুক্ত রাখে। তিনি চান, দেশে কোনও চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বাজি না চলে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য, এটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন। সেটা মাথায় রেখেই ভোটারদের ভোট দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ছাত্র অভ্যুত্থানের পর এই ভোটের গুরুত্ব বুঝিয়ে ইউনূস আসন্ন ভোটকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে ব্যাখ্যা করেন।
গত বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন। তারপর গঠিত ওই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তারপর থেকে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কোনও উচ্চবাচ্য নেই। সম্প্রতি সেই কারণেই সরব হয় বাংলাদেশের রাজনীতিকদের একাংশ। বাংলাদেশে একাধিক রাজনীতিবিদই প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা কেন, ডিসেম্বেরই নির্বাচন হবে না কেন? আর অন্যদিকে, ইউনূস মন্তব্য করেন, “দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে।” অবশেষে ভোট ঘোষণা হলেও ডিসেম্বেরর ডেডলাইন মানলেন না তিনি।