Bangladesh: সব ‘দোষ’ হাসিনার! ‘মুখ বন্ধ করে দিক ভারত’, ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পিছনে যুক্তি খাড়া করল ইউনূস সরকার

Bangladesh: বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা আটকাতে গিয়ে কীভাবে বাংলাদেশের রাস্তায় হেনস্থা, অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে, সেই ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ছাড় পাচ্ছেন না মহিলারাও। তবে বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা চলছে।

Bangladesh: সব দোষ হাসিনার! মুখ বন্ধ করে দিক ভারত, ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পিছনে যুক্তি খাড়া করল ইউনূস সরকার
বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিImage Credit source: GFX- TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 06, 2025 | 6:05 PM

ঢাকা: ‘ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পর এমনই বিবৃতি দেওয়া হল মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতে বসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করছেন, উস্কানিমূলক। আর তার জেরেই গভীর ক্রোধ তৈরি হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি বাংলাদেশের।

ধানমন্ডির ওই ৩২ নম্বর বাড়ি থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন মুজিবুর রহমান। ওই বাড়িতেই মুজিবের গোটা পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। পরতে পরতে জড়িয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস। সেই বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ছবি সামনে আসার ২৪ ঘণ্টা পর বিবৃতি দিল ইউনূস সরকার।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, গত ছ’ মাসে ওই বাড়িটিতে কোনওরকম আক্রমণ হয়নি। কিন্তু হাসিনার বক্তব্যের জন্য়ই নাকি এই ঘটনা ঘটল! বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছে তাদের শেখ হাসিনা অপমান করেছেন, গণঅভ্যুত্থানকে অবমাননা করেছেন। শেখ হাসিনা সম্পর্কে ইউনূস সরকার বলছে, তিনি নাকি ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন, এখনও সেই ‘হুমকি-ধমকি’র সুরেই কথা বলছেন। সেই কারণেই এই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের।

বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা আটকাতে গিয়ে কীভাবে বাংলাদেশের রাস্তায় হেনস্থা, অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে, সেই ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ছাড় পাচ্ছেন না মহিলারাও। তবে বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা চলছে।

শুধু বিবৃতি নয়, বাংলাদেশ ভারতকে এই বার্তাও দিয়েছে, যাতে শেখ হাসিনাকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ না দেওয়া হয়। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে ভারতের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও দাবি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।