নয়া দিল্লি/টরন্টো: কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানি সমর্থকদের হামলার তীব্র নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার (৪ নভেম্বর), মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক সরকারি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “গতকাল অন্টারিওর ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার নিন্দা করছি।” কানাডার মাটিতে এই ধরনের হামলা থেকে মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলিকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আশা করি, যারা হিংসায় জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার করা হবে। আমরা কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
বিদেশ মন্ত্রকের আগে, ওট্টোয়ায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকেও ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে এই হামলার নিন্দা করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা জানিয়েছে, কানাডিয়ান এবং ভারতীয় আবেদনকারীদের লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবনের শংসাপত্র বিলির জন্য, ওট্টোয়াতে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের সহযোগিতায় একটি কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতের হাইকমিশন এবং ভ্যাঙ্কুভার ও টরন্টোর ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল। আগে থেকেই এই অনুষ্ঠানগুলিতে দৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তারপরও, ভারত-বিরোধীরা এই হামলা চালিয়েছে।
হাইকমিশন বলেছে, “স্থানীয় সহ-সংগঠকদের পূর্ণ সহযোগিতায় আমাদের কনস্যুলেটগুলির নিয়মিত কনস্যুলার কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটানো অত্যন্ত হতাশাজনক। আমরা ভারতীয় নাগরিক-সহ সকল আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবিতেই এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলি করা হয়। ভারতবিরোধী উপাদানগুলির এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমাদের কনস্যুলেট ভারতীয় এবং কানাডিয়ান আবেদনকারীদের ১০০০টিরও বেশি জীবনের শংসাপত্র দিয়েছে।” তারা আরও জানিয়েছে, ২-৩ নভেম্বর ভ্যাঙ্কুভার এবং সারে-তে একই ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেগুলিতেও ব্যাহত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।