কলকাতা: কোনও ট্যাক্সিচালকের মাসিক আয় ৮০০ টাকা? ভাবছেন নিশ্চয় এবার কী করে সম্ভব? হলেও কোথায় দেখা যায় এই ছবি? উত্তর পেতে যেতে হবে বরুন্ডিতে (African country Burundi)। বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ আরও অনেক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিগত ৬২ বছর ধরে আফ্রিকার এই দেশটিই পৃথিবীর সবথেকে দরিদ্র দেশ (The poorest country in the world) হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ। বর্তমানে দেশটির মাথাপিচু বার্ষিক আয় প্রায় ১৮০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরে ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। মাসে ১২০০ টাকার কাছাকাছি। বেকারত্বের হার জানা না গেলেও বুরুন্ডিতে প্রতি তিনজনের মধ্যে ১ জন বেকার বলে মনে করা হয়। দেশটির আয়তন ২৭ হাজার ৮৩৪ বর্গ কিলোমিটার। এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশটির মাটি রুক্ষ হওয়ায় তা চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত নয়। তারফলে যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হয় তা দেশের মোট জনসংখ্য়ার জন্য পর্যাপ্ত নয়। তারফলে অনাহার এখানে রোজকার ঘটনা।
দশ বছর আগে প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক তথ্য অনুযায়ী এখানকার মানুষের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৪৯ বছর। এদিকে এখানে এখনও গোটা দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পান না। মাত্র ৭ শতাংশের কাছাকাছি মানুষের বাড়িতে আছে বিদ্যুতের সংযোগ। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ এখনও পর্যন্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করে না। যে ফোনগুলি ব্যবহার হয় সেগুলিও বেশিরভাগ পুরনো টেকনোলজির।
এদিকে আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক ঘনবসতি পূর্ণ দেশ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে বুরুন্ডির। শিক্ষার হার এখানে কম হওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবহারেও মানুষের যথেষ্ট উদাসীনতা এখানে দেখতে পাওয়া যায়। বুরুন্ডি প্রতি ১ বর্গ কিলোমিটারে ৪৫১ জন মানুষ রয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। প্রতি ২০ জনের ১ জন অপুষ্টি বা অনাহারের কারণে মারা যায়। এখানে টাকার দামও যথেষ্ট কম। এখানে ১ মার্কিন ডলারের মূল্য় প্রায় ২ হাজার বুরুন্ডিয়ান ফ্যাঙ্কের সমান। ভারতের ১০০ টাকা সেখান প্রায় আড়াই হাজার টাকার কাছাকাছি।