Japan Earthquake: ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে মাটি, ফের ভূমিকম্প-বিপর্যয়ের সতর্কতা জারি জাপানে
After Shock: ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে, এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে। জাপান সরকার জানিয়েছে, মঙ্গলবার অবধি ভূমিকম্পে ৬২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ২২ জন।
টোকিয়ো: নতুন বছরের প্রথমদিনেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান (Japan)। আছড়ে পড়েছে সুনামির (Tsunami) ঢেউও। ভূমিকম্পের দুইদিন পরও ধ্বংসস্তূপের মাঝে প্রিয়জনদের খুঁজে চলেছেন বাসিন্দারা। এরইমধ্যে ফের বিপদের সতর্কতা। জাপান প্রশাসনের তরফে ফের ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করা হল। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পে এখনও অবধি ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে।
২০২৪ সালের প্রথম দিনেই শক্তিশালী ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের ইশিকাওয়া প্রদেশ। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক মিটার উচ্চতার সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে স্থলভাগে। ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে দু-টুকরো হয়ে যায় রাস্তাঘাট, ভেঙে পড়ে বাড়িঘর। একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডও ঘটেছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে, এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে। জাপান সরকার জানিয়েছে, মঙ্গলবার অবধি ভূমিকম্পে ৬২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ২২ জন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে জাপানে। আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। প্রবল শৈতপ্রবাহের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি হলে হড়পা বানও নামতে পারে।
আজ, বুধবার এমার্জেন্সি টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী জানান, সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তারা। ধ্বংসস্তূপের নীচে কত মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তা আন্দাজ করা যাচ্ছে না।