Myanmar military: মহিলা-শিশু সহ অন্তত ৩০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার, ‘জঙ্গি-হত্যা’ বলছে মায়ানমার সেনা
Myanmar military: একাধিক জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী।
মায়ানমার : মায়ানমারের বুকে ফের একবার ভয়ঙ্কর ঘটনা। ৩০ জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ খোদ মায়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিরা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। এই ঘটনা ঘটেছে মায়ানমারের কায়াহ রাজ্যে।
মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এর আগেও এহেন অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে প্রতিবাদও হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! নতুন করে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় এক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, কায়াহ রাজ্যের হিপরুসো শহরে মো সো গ্রামের এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিধিরা ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন, দাবি সংগঠনের। শুধু তাই নয়, পুরুষ, মহিলা এমনকি শিশুদের পুড়িয়ে ফেলা মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। আর এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অমানবিক এবং বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি। এভাবে মানুষকে মারা মানবাধিকারকে লঙ্ঘন বলেও দাবি সংগঠনের। এই বিষয়ে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মানবাধিকার সংগঠনটির।
যদিও মায়ানমারের একাধিক সংবাদমাধ্যমে সে দেশের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কোনও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেনি। বরং সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মারা হয়েছে বলে দাবি সেনাবাহিনীর। তাদের হাতে বন্দুক ছিল। তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে মায়ানমার সেনাবাহিনীর তরফে কিছু জানানো হয়নি। বাহিনীর তরফে আরও বলা হয়েছে যে, যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তারা সাতটি গাড়িতে ছিল। সেই গাড়িগুলিকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বরং না থেমে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গাড়িগুলি, এমনটাই দাবি মায়ানমার সেনাবাহিনীর।
তবে মায়ানমারের মানবাধিকার সংগঠনগুলি ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে। আধ পোড়া একাধিক মৃতদেহের ছবিও সংগঠনগুলি সামনে নিয়ে এসেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা পরিচয় গোপন রেখে এক সংবাদমধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার গুলির ঘটনা তিনি শুনেছিলেন। কিন্তু পরপর গুলি চলায় তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। আর এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চারিদিকে পোড়া মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।’
আরও পড়ুন : Omicron in Britain: প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোভিড আক্রান্ত! টেমসের তীরে নতুন আতঙ্ক
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের সামরিক বাহিনী নেত্রী অং সান সু চিকে গ্রেফতার করে ক্ষমতা দখল করে। সেই থেকে মায়ানমারে টালমাটাল অবস্থা।
আরও পড়ুন : Omicron in Britain: প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কোভিড আক্রান্ত! টেমসের তীরে নতুন আতঙ্ক