Bangladesh: ইউনূসের গদি ধরে টান, বাংলাদেশের ভোটে দাঁড়াবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী! ৯০ দিনেই নির্বাচন?

Bangladesh Election: ইউনূস সরকারকে কার্যত খোঁচা মেরেই বিএনপি নেতা বলেন, "বর্তমান যা পরিস্থিতি দেশে, তাতে ফেব্রুয়ারির আগেও নির্বাচন হতে পারে, কারণ সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

Bangladesh: ইউনূসের গদি ধরে টান, বাংলাদেশের ভোটে দাঁড়াবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী! ৯০ দিনেই নির্বাচন?
বাংলাদেশে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন?Image Credit source: ANI

|

Jul 31, 2025 | 7:19 AM

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার খালেদা জিয়ার প্রবেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারপার্সন ফের জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর দলের তরফেই এ কথা জানানো হয় বুধবার। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রায় পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। একাধিকবার তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে গিয়েছিল। কার্যত মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসে এবার ফের একবার সরাসরি ভোটের ময়দানে লড়়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টো গতকালই জানান যে দলের প্রধান ভাল আছেন এবং তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন। কোন আসন থেকে লড়বেন, তাও জানিয়ে দেন। মিন্টো বলেন যে ফেণী আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংও হয়েছে।

এদিকে, খালেদা জিয়ার ছেলে তথা বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারেন, তা নিয়েও জোর জল্পনা রয়েছে। তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মিন্টো শুধু জানান, তাদের মতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে।

ইউনূস সরকারকে কার্যত খোঁচা মেরেই বলেন, “বর্তমান যা পরিস্থিতি দেশে, তাতে ফেব্রুয়ারির আগেও নির্বাচন হতে পারে, কারণ সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। যদি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি হয়, তবে ৯০ দিনের মধ্য়ে নির্বাচন করাতে হয়।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের অগস্ট মাসে গদিচ্যুত হন শেখ হাসিনা। ঠিক তার আগেই গত বছরের মে মাসে লন্ডন থেকে ফেরেন খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘ ৪ মাস লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লিভার ক্রিরোসিস, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা এবং আর্থারাইটিস রয়েছে খালেদা জিয়ার।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির কারণে তিনি ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলবন্দি ছিলেন। তবে করোনাকালে হাসিনা সরকার তাঁকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল জেল থেকে। এরপর ২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর সাজা মকুব করে দেওয়া হয়। গত বছর হাসিনা সরকার পতনের পরই প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু তাঁর মুক্তির নির্দেশ দেন।  চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে এবং দুর্নীতি মামলা থেকে তাঁকে মুক্তি দেয়।