
লাহোর: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। বর্তমানে সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মসনদ দখল করতে দেশবাসীর মন জয় করা নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে দলগুলি। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে ভারতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের উদ্দেশে দেওয়া হয়েছে বিশেষ শর্ত।
নওয়াজের দল, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের ইস্তাহারে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশগুলিতে শান্তির বার্তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের জন্য এক বিশেষ শর্ত দেওয়া হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পিএমএল-এন-এর ইস্তাহারে বলা হয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক ভারত। ২০১৯-এর অগস্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক। অর্থাৎ নওয়াজ শরিফ ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়তে চান, তবে নিজের শর্তে।
‘জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’
যদিও পিএমএল-এন-এর শর্ত পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভারত সরকার বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০১৯ সালে ভারতের সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করার বিষয়টি ভারতের এবং সংবিধানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি
এ ছাড়া পিএমএল-এন-এর ইস্তাহারে পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নতি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জনগণকে সস্তায় বিদ্যুৎ সরবরাহ, বিদ্যুৎ বিল ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ইস্তাহারে দেশের অগ্রগতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নওয়াজ শরিফ
২০১৭ সালে পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আবারও ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পিএমএল-এন দলের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে ‘পাকিস্তান কো নওয়াজ দাও’ ক্যাপসন দিয়েছে। নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজও দলের প্রচারে নেমেছেন। তিনি নিজেও লাহোর থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। অন্যদিকে, নওয়াজের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান আইনি জটিলতায় এবার নির্বাচনী ময়দানে নেই। ফলে নওয়াজের লড়াই অনেকটাই সহজ হয়েছে বলে মনে করছে পাক রাজনৈতিক মহল।