রটারডাম: ডাচ বন্দর নগরী রটারডামের এক বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশেপাশের বাড়িতে বন্দুকবাজের হামলা। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) এই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাচ পুলিশ জানিয়েছে, রটারডাম মেডিকেল সেন্টার এবং তার পাশের একটি বাড়িতে গুলি চলেছে বলে খবর রয়েছে। গুলিচালনার পর, দুটি জায়গাতেই আগুন লেগে গিয়েছে। তাই পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি ডাকা হয়েছে দমকল বাহিনীকেও।
A fire was also reported at the Erasmus Medical Center in Rotterdam while the shooting was taking place. The suspect may have carried out two shootings, one near his home and one at a Rotterdam hospital. pic.twitter.com/BiL9I8tSrR
— Bowner (@agentbowner) September 28, 2023
অনলাইনে পোস্ট করা ঘটনাস্থলের এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের একটি দল। ছাত্রছাত্রীদের তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের অনেকেরই পরণে সাদা রঙের মেডিকেল গাউন রয়েছে।
BREAKING: Shooting at Holland Erasmus Medical Centre, Rotterdam. The shooting started in a classroom with sick children. Multiple casualties have been reported. pic.twitter.com/hPuKr7A3dj
— Insider Corner (@insidercnews) September 28, 2023
ঘণ্টা দুয়েক পরে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানায়, এই ঘটনার আততায়ী সন্দেহে এক ৩২ বছর বয়সী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, আততায়ী সম্পর্কে এখনও আর কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। সে কেন এই হামলা চালাল সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়। তার পরণে সামরিক পোশাক ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার পরণে সামরিক বাহিনীর মতো জঙ্গলা ছাপের পোশাক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই একজনই হামলা চালিয়েছে। দ্বিতীয় কোনও বন্দুকবাজ ছিল, তার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, এরাসমাস মেডিকেল সেন্টারের এক শ্রেণিকক্ষে এই গুলিচালনার সূত্রপাত ঘটে। ওই শ্রেণিকক্ষে সেই সময় বেশ কয়েকজন অসুস্থ শিশু ছিল। তাদের অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। সরকারিভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন যুবক সম্ভবত প্রথমে তার বাড়ির কাছেই এক বাড়িতে গুলি চালায়। তারপর হানা দেয় রটারডামের ওই হাসপাতালে।
চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষে, রটারডামে এক কার্নিভালেও এক বন্দুকবাজ গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। বন্দুকবাজের সঙ্গে ডাচ পুলিশের এক প্রস্থ গুলি যুদ্ধও চলে। শেষে, বন্দুকবাজও আহত হয়েছিল। মধ্য রটারডামের কুলসিঞ্জেলের কাছে এক রাস্তায় ওই ঘটনা ঘটেছিল। গুলি চলার শব্দ পেয়েই সাধারণ পথ চলতি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক মহিলাও।